সুনামির পর প্রথমবারের মতো বিবৃতি দিলো টোঙ্গা সরকার

অগ্নুৎপাতের কারণে সৃষ্ট সুনামি আঘাত হানার পর প্রথমবারের মতো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য প্রকাশ করেছে টোঙ্গা সরকার। এতে বলা হয়েছে দেশটি নজিরবিহীন দুর্যোগে আক্রান্ত হয়েছে। দুই স্থানীয় এবং এক ব্রিটিশ নাগরিকের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশটির অপেক্ষাকৃত ছোট দ্বীপগুলো বিশেষভাবে আক্রান্ত হয়েছে। একটি দ্বীপের সব বাড়ি ধ্বংস হয়েছে আর অপর একটি দ্বীপে মাত্র দুইটি বাড়ি টিকে আছে।

অগ্নুৎপাতে ছড়িয়ে পড়া ছাইয়ের কারণে ত্রাণ তৎপরতা মারাত্মক বিঘ্নিত হচ্ছে। দেশটির মূল বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছাই সরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবকেরা। এতে করে দেশটির অতি প্রয়োজনীয় খাবার পানি এবং ত্রাণ সামগ্রি বহন করা সম্ভব হবে।

অগ্নুৎপাতের কারণে সমুদ্রের তলদেশের একটি ক্যাবল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ইন্টারনেট ও টেলিফোন সংয়োগ বিচ্ছিন্ন হয়ে বাকি দুনিয়ার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে টোঙ্গা। দেশটির সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও কিছু স্থানীয় ফোন সেবা সচল হয়েছে। তার যোগাযোগ ফের সম্পূর্ণ স্থাপন করার কাজ চলছে।

টোঙ্গা সরকারের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মূল দ্বীপ টোঙ্গাতাপুর শত শত বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দ্বীপগুলো থেকে বাসিন্দাদের সরানোর কাজ চলছে। আগ্নেয় ছাইয়ের কারণে পানি সরবরাহ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাময়িকভাবে ফ্লাইট স্থগিত রাখা হয়েছে আর সামুদ্রিক পরিবহনও বিঘ্নিত হচ্ছে।

সূত্র: বিবিসি