মিয়ানমার ছাড়ছে শেভরন ও টোটাল

আন্তর্জাতিক জ্বালানি কোম্পানি শেভরন ও টোটাল মিয়ানমার ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে। শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে। সামরিক জান্তার আয়ের উৎস বন্ধ করতে প্রচার চালানো গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারীদের জন্য এটি বড় অর্জন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

এক বিবৃতিতে টোটাল মিয়ানমারে মানবাধিকার পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেছে। তারা বলেছেন, মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং আইনের শাসনের অবনতির কারণে টোটালের পক্ষে দেশটিতে ইতিবাচক ভূমিকার অনুমতি দেয় না।

গত বছর ফরাসি কোম্পানিটি নিজেদের নাম পাল্টে টোটালএনার্জিস হয়েছে।

মার্কিন কোম্পানি শেভরনও জানিয়েছে, পরিস্থিতির কারণে তারা মিয়ানমার ত্যাগের পরিকল্পনা করছে।

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর জান্তার বিরোধিতাকারীদের ওপর তীব্র দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে। পরিস্থিতি এত খারাপ হয় যে বেসামরিক মানুষেরা প্রতিরক্ষা বাহিনী গড়ে তুলেছেন। জান্তার বিরোধিতা করায় অন্তত ১১ হাজার ৬৫১ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪৮৮ জনের।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মিয়ানমার অয়েল অ্যান্ড গ্যাস এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে বিভিন্ন কোম্পানির সম্পর্ক ছিন্ন করার ডাক দেওয়া অ্যাক্টিভিস্টদের জন্য শেভরন ও টোটালের এই ঘোষণা বড় জয়।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তথ্য অনুসারে, প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে মিয়ানমার জান্তার প্রতিবছর ১০০ কোটি ডলারের বেশি বিদেশি মুদ্রা আসে। দেশটির বিদেশি মুদ্রা আয়ের বৃহত্তম উৎস এটি।

১৯৯০ দশক থেকে মিয়ানমারের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে ইয়াদানা গ্যাস প্রকল্প পরিচালনা করছে টোটালএনার্জিস। গ্যাসক্ষেত্রটি ৩১.২৪ শতাংশ মালিকানা রয়েছে কোম্পানিটির। শেভরনের মালিকানা রয়েছে ২৮.২৬ শতাংশ। মার্কিন কোম্পানিটি মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডকে গ্যাস সরবরাহ করে।