অভ্যুত্থানের বার্ষিকীতে মিয়ানমারে ‘নীরব ধর্মঘটের’ ডাক

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বার্ষিকীতে নীরব ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন বিরোধীরা। তবে এতে অংশগ্রহণকারীদের জেলে ঢোকানোর হুমকি দিয়েছে জান্তা সরকার। সামরিক জেনারেলরা ক্ষমতা দখলের এক বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং কানাডা তাদের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

২০২০ সালের নির্বাচনে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) জয় লাভ করলে জালিয়াতির অভিযোগ তোলে সেনাবাহিনী। এর জেরে গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত০ সরকার উৎখাত করে সু চিসহ এনএলডি নেতাদের গ্রেফতার করে সামরিক বাহিনী।

সু চির সরকার উৎখাতের পর গত বছর মিয়ানমারের রাজপথে ব্যাপক বিক্ষোভ গড়ে ওঠে। নিরাপত্তা বাহিনী শত শত মানুষ হত্যা করলে সুসংগঠিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গড়ে তোলা হয় পিউপিল’স ডিফেন্স ফোর্স।

সম্প্রতি অ্যাক্টিভিস্টরা মানুষকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে মঙ্গলবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

তরুণ অ্যাক্টিভিস্ট নান লিন আশা করছেন এই ধর্মঘট জান্তা সরকারকে একটি বার্তা দেবে। তিনি বলেন, ‘ভাগ্যবান হলে আমরা গ্রেফতার হতে পারি এবং বাকি জীবন কারাগারে কাটাতে পারি। ভাগ্যবান না হলে নির্যাতন এবং হত্যার শিকার হতে পারি।’

এই ধর্মঘটের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি জান্তা সরকারের মুখপাত্র। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সামরিক শাসক মিন অং হ্লাইং সোমবার জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়েছে। তাদের দাবি প্রতিশ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এই সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় শহর মায়িতকিনায় পথে পথে নোটিশ টাঙিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিবাদে অংশ না নেওয়ার জন্য সতর্ক করেছে সামরিক বাহিনী। এরকম একটি নোটিশের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসেছে, তাতে লেখা ছিল, ‘যারা এই নীরব প্রতিবাদে অংশ নেবে তাদের এই আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে।’ এতে সন্ত্রাসবিরোধী, রাষ্ট্রদ্রোহিতা, অবাধ্যতা ও টেলিযোগাযোগ আইনের অধীনে তিন থেকে সর্বোচ্চ ২০ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স