থাইল্যান্ডে আটকা পড়েছে কয়েক হাজার রুশ নাগরিক

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডে আটকা পড়েছে কয়েক হাজার রুশ নাগরিক। তারা মূলত পর্যটক হিসেবে দেশটিতে ঘুরতে গিয়েছিলেন। এখন রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিজ দেশে ফিরতে পারছে না তারা। মঙ্গলবার থাই কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে পশ্চিমা দুনিয়ার নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে রাশিয়া। এর ফলে একদিকে রুশগামী ফ্লাইটের জন্য রীতিমতো লড়াই করতে হচ্ছে। অন্যদিকে রুশ মুদ্রা রুবলের আকস্মিক দরপতনের ফলে তাদের হাতে থাকা নগদ অর্থের পরিমাণও কার্যত কমে গেছে।

থাইল্যান্ডের পর্যটন কর্তৃপক্ষের প্রধান ইউথাসাক সুপাসর্ন বলেছেন, ফ্লাইট বাতিল, রুশ মুদ্রা রুবলের দরপতন এবং সুইফট থেকে ছিটকে পড়ায় রাশিয়ান ব্যাংকগুলোর পেমেন্ট ব্যবস্থা বিপত্তি ঘটছে। এসব কারণে ফুকেট, কোহ সামুই, পাতায়া ও ক্রাবির মতো স্থানগুলোতে আটকা পড়েছে সাত হাজারেও বেশি রুশ নাগরিক।

আটকাপড়াদের প্রায় অর্ধেকই ফুকেট দ্বীপে আটকা পড়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

ইউথাসাক সুপাসর্ন রয়টার্সকে বলেন, ‘আমাদের ভালো হোস্ট হতে হবে এবং সবার প্রতি যত্নশীল হতে হবে।’

বিষয়টি সম্পর্কে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে নিযুক্ত রুশ দূতাবাসের মন্তব্য চেয়েছিল রয়টার্স। তবে তাদের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও সাড়া মেলেনি।

ফুকেট পর্যটন সমিতির সভাপতি ভূমিকিত্তি রুক্তেংগাম বলেন, ‘আমরা হোটেলগুলোকে দাম কমাতে এবং তাদের থাকার মেয়াদ বাড়াতে বলেছি।’

তিনি বলেন, ইউক্রেন থেকে আসা শত শত মানুষও আটকা পড়েছে। মূলত সেখানে বিমানবন্দর বন্ধ থাকার কারণে বিপাকে পড়েছে তারা।

ভূমিকিত্তি রুক্তেংগাম জানান, মধ্যপ্রাচ্যের এয়ারলাইনগুলোর মাধ্যমে যাতে আটকেপড়া রাশিয়ানদের মস্কোর ফ্লাইটে উঠিয়ে দেওয়া যায়, সে ব্যাপারে চেষ্টা চলছে।

২০১৯ সালে প্রায় ১৪ লাখ রুশ পর্যটক থাইল্যান্ড ভ্রমণ করে। গত জানুয়ারিতে থাই কর্তৃপক্ষ জানায়, ওই সময়ে দেশটির মোট পর্যটকের এক পঞ্চমাংশই ছিল রাশিয়ান। এ সংখ্যা প্রায় ২৩ হাজার।

রুশ বাহিনীকে অবিলম্বে ইউক্রেন ত্যাগের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘে আনা প্রস্তাবে যে ১৪১টি দেশ সমর্থন দিয়েছে তার একটি থাইল্যান্ড। তবে দেশটি মস্কোর ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি।