ভারতীয় পর্যটকদের দিকে তাকিয়ে শ্রীলঙ্কার পর্যটন খাত

ভারতের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ শহরে রোড শো আয়োজন করবে শ্রীলঙ্কা। বৈদেশিক সংকটে থাকা দেশটিতে আরও বেশি পর্যটক আকর্ষণ করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বুধবার শ্রীলঙ্কার পর্যটনমন্ত্রী এই রোড শো আয়োজেনের ঘোষণা দিয়েছেন।

পাহাড়, আদিম সৈকত এবং সমুদ্রতীরবর্তী শহরগুলোর জন্য পরিচিত শ্রীলঙ্কা সাত দশকের মধ্যে তার সবচেয়ে খারাপ আর্থিক সংকটে পড়েছে। অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা এবং কোভিড-১৯ মহামারির  কারণে সৃষ্ট এই সংকটে দেশটির লাভজনক পর্যটন শিল্প নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়ে।

শ্রীলঙ্কার ২ কোটি ২০ লাখ মানুষের নিত্য ব্যবহার্য পর্ণ আমদানিরর মতো পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা নেই। ফলে ওষুধ, খাবার ও জ্বালানির মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে।

অস্থিরতা সত্ত্বেও এই বছর শ্রীলঙ্কায় বেড়েছে ভারতীয় পর্যটক। বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ৬৬১ হাজার ৯৫১ জন ভারতীয় পর্যটক শ্রীলঙ্কা ভ্রমণ করেছেন। যা অন্য যেকোনও দেশের চেয়ে বেশি।  এরপরও আরও বেশি ভারতীয় পর্যটক টানতে আগ্রহী শ্রীলঙ্কা সরকার।

পর্যটনমন্ত্রী হারিন ফার্নান্দো সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংকট কাটিয়ে উঠতে চাইলে শ্রীলঙ্কাকে অবশ্যই পর্যটন রাজস্ব পেতে হবে। এটাই প্রয়োজনীয়’। তিনি বলেন, ভারতের পাঁচটি বড় শহরে রোড শো আয়োজন করবে শ্রীলঙ্কার পর্যটন মন্ত্রণালয়। এতে ব্যবসায়ী, অবসর কাটাতে চাওয়া ভ্রমণকারী এবং বিয়ের গন্তব্য হিসেবে ভারতীয়দের আকৃষ্ট করা হবে। তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বাজার’।

ফার্নান্দো বলেন, এই বছরের শেষ নাগাদ ১০ লাখ পর্যটক টানতে চায় শ্রীলঙ্কা। গত বছর দেশটি ভ্রমণ করে মাত্র দুই লাখ পর্যটক। শ্রীলঙ্কার পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘শীতের মৌসুম ভালো হবে বলে আমরা আত্মবিশ্বাসী’।

জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় শ্রীলঙ্কা স্কুল বন্ধের সময়সীমা বাড়িয়েছে এবং সরকারি চাকুরিজীবীদের বাড়ি থেকে কাজ চালানোর আহ্বান জানিয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স