জেন্ডার গ্যাপ সূচক: দ. এশিয়ায় এখনও এগিয়ে বাংলাদেশ

অধিকার আর অংশগ্রহণের নিরিখে নারী-পুরুষ বৈষম্য ঘুচাতে গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)। এই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। তবে গত বছরের তুলনায় পয়েন্ট কমেছে।

২০০৬ সাল থেকে জেন্ডার গ্যাপ সূচক প্রকাশ করে আসছে ডব্লিউইএফ। অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ, শিক্ষার সুযোগ, স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের মাপকাঠিতে এই প্রতিবেদন তৈরি হয়। সূচকে একটি দেশের অবস্থান নির্ধারণ করা হয় ১ ভিত্তিক স্কেলে, যেখানে ১ মানে হচ্ছে পুরো সম অধিকার, আর শূন্য মানে পুরোপুরি অধিকার বঞ্চিত।

এই হিসাবে বাংলাদেশের মোট স্কোর এবার ০.৭১৪। যার ফলে তালিকায় ৭১তম স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ। গত বছর এই স্কোর ছিল ০.৭১৯। ২০০৬ সালে প্রথম তালিকায় বাংলাদেশের স্কোর ছিল ০.৬২৭।

এই বছর দক্ষিণ এশিয়ায় অন্য দেশগুলোর মধ্যে ৯৬তম অবস্থানে থাকা নেপাল পেয়েছে ০.৬৯২ পয়েন্ট। ১০৬তম অবস্থানে থাকা মিয়ানমারের প্রাপ্তি ০.৬৭৭। ১১০তম অবস্থান পেতে শ্রীলঙ্কা পেয়েছে ০.৬৭০ পয়েন্ট। ১১৭তম অবস্থানে থাকা মালদ্বীপ পেয়েছে ০. ৬৪৮। ১২৬তম অবস্থানে থাকা ভুটানের প্রাপ্তি ০.৬৩৭।

ভারতের অবস্থান এবার ১৩৫তম অবস্থানে। তাদের পয়েন্ট ০.৬২৯। তালিকার তলানিতে ১৪৬ নম্বর অবস্থান আফগানিস্তানের। তাদের প্রাপ্তি ০.৪৩৫। আর তাদের উপরে থাকা পাকিস্তানের প্রাপ্তি ০.৫৬৪।

এই সূচকে গত বছরের মতো শীর্ষে অবস্থানে রয়েছে আইসল্যান্ড, দেশটির স্কোর ০.৯০৮। শীর্ষ দশের বাকি ৯ দেশ হলো- ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, নিউ জিল্যান্ড, সুইডেন, রুয়ান্ডা, নিকারাগুয়া, নামিবিয়া, আয়ারল্যান্ড ও জার্মানি।

উন্নত দেশগুলোর তুলনায় অনেক দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকলেও লিঙ্গ সমতায় ব্রাজিল (৯৪), চীন (১০২) জাপানের (১১৬) চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।

ডব্লিউইএফ বলছে, ২০২২ সালে নারী-পুরুষ বৈষম্য ৬৮.১% পর্যন্ত কমানো গেছে। এই ধারায় এগোলে বিশ্ব থেকে লিঙ্গ বৈষম্য দূর হতে ১৩২ বছর সময় লাগবে।