রনিলকে আল্টিমেটাম শ্রীলঙ্কার বিক্ষোভকারীদের

শ্রীলঙ্কার বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর বলপ্রয়োগ অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো। রাজধানী কলম্বোর সরকারি দফতরগুলোতে অবস্থান নেওয়া সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে কঠোর অবস্থানে যায় সেনা ও পুলিশ। তবে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের পদত্যাগের আগপর্যন্ত প্রবল আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার বিক্ষোভকারীদের। 

রাজধানী কলম্বোজুড়ে ধরপাকড় চলছে লঙ্কান কমান্ডো বাহিনীর। ১০০ দিনের বেশি হবে প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের বাইরে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা। রনিল বিক্রমাসিংহে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই তাদের সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এখনও শহরের বিভিন্নস্থানে সেনা ও পুলিশ সদস্যদের রাজপথে অবস্থান দেখা গেছে। শ্রীলঙ্কাজুড়ে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরাতে লঙ্কান বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত ১১ জন আটক হয়েছে। এরমধ্যে আইনজীবী ও দুই সাংবাদিকও রয়েছেন।

এ পরিস্থিতি নিয়ে হিউমান রাইটস ওয়াচ বলছে, ‘এমন ঘটনা শ্রীলঙ্কার জনগণকে একটি বিপজ্জনক বার্তা দেয়। নতুন সরকার আইনের শাসনের পরিবর্তে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কাজ করতে চাচ্ছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলী শনিবার (২৩ জুলাই) এক বিবৃতিতে বলেন, লঙ্কানদের অর্থনৈতিক চাহিদা মেটাতে জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সরকারের এমন দাবি মৌলিক অধিকারকে সম্মান করে।

রনিলের প্রশাসন ক্ষমতায় না বসতেই নিরাপত্তা বাহিনীকে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়ায় নিন্দা জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও। জানিয়েছে, এটা খুবই লজ্জাজনক যে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আক্রমণাত্মক কৌশল অবলম্বন করেছে।

যদিও এ পরিস্থিতিতেও রাজধানীর কলম্বোর বিক্ষোভকারীরা প্রতিজ্ঞা করেছে, নতুন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহ পদত্যাগ করা না পর্যন্ত তীব্র আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

গত কয়েক দশকের মধ্যে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি সবচেয়ে নাজুক। দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে বিদেশ থেকে পর্যাপ্ত জ্বালানি তেল, খাদ্য, জরুরি ওষুধ কেনার মতো অর্থ নেই সরকারের হাতে। এই সংকটের জন্য সাবেক পলাতক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের সরকারকে দায়ী করে আসছে লঙ্কান জনগণ।

সূত্র: আল আজিরা।