চার গণতন্ত্রপন্থীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলো মিয়ানমার

জোরপূর্বক ক্ষমতায় বসার পর প্রথমবার মিয়ানমারের চার গণতন্ত্রপন্থীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে সামরিক সরকার। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, সাবেক এমপি ফিও জেয়া থাও, লেখক ও কর্মী কো জিমি, হ্লা মায়ো অং এবং অং থুরা জাওর। গত জুনে তাদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডে রায় দিয়েছিলেন সামরিক আদালত। খবর বিবিসি’র। 

এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্য সরকার - গণতন্ত্রপন্থী ব্যক্তিত্ব, সশস্ত্র জাতিগত গোষ্ঠীর প্রতিনিধি এবং এনএলডি সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত জোট। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ডে আমরা অত্যন্তত মর্মাহত এবং দুঃখিত। 

দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউজ লাইট অব মিয়ানমারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নৃশংস ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য নির্দেশনা, ব্যবস্থা ও ষড়যন্ত্রের দায়ে চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। তবে তাদের কখন, কীভাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলো তা স্পষ্ট করেনি জান্তা সরকার ও রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমটি।

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের মধ্যে ৫৩ বছর বয়সী কো জিমি রয়েছেন। ১৯৮৮ সালে সেনাবিরোধী আন্দোলনের জন্য বেশ পরিচিত রয়েছে তার। গত বছরের অক্টোবরে ইয়াঙ্গুনের একটি অ্যাপার্টমেন্টে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুকিয়ে রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করে সামরিক বাহিনী।

ফিও জেয়া থাও এনএলডি দলের সাবেক এমপি ও সু চি’র সহযোগী ছিলেন। হিপ-হপ শিল্পী থাও জান্তাবিরোধী গানের জন্য আটক হন। আর জান্তা সরকারের হয়ে কাজ করা এক নারীকে হত্যার দায়ে হ্লা মিও অং এবং অং থুরাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

গণতন্ত্রপন্থীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে নিন্দা জানিয়েছে স্থানীয় মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো। ২০২১ সালে সু চি’র সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতায় বসে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। দুর্নীতিসহ একাধিক মামলা দেওয়া হয়েছে সু চি’র বিরুদ্ধে। এরমধ্যে কয়েকটির রায় দিয়েছে সামরিক আদালত। সবগুলোর রায় সু চি’র বিপক্ষে গেলে আমৃত্যু কারাগারে কাটাতে হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন তার আইনজীবীরা।

মিয়ানমার সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন এবং সেনাবাহিনীর অভিযানে ২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আটকের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৪ হাজার।