সেই স্যুটকেসে পাওয়া দেহাবশেষ দুই শিশুর: পুলিশ

নিলামে কিনে নেওয়া স্যুটকেসের মধ্যে পাওয়া মানুষের দেহাবশেষ দুইটি শিশুর বলে জানিয়েছে নিউ জিল্যান্ডের পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, এই মরদেহগুলো কয়েক বছর ধরে লুকিয়ে রাখা ছিল।

অকল্যান্ডের একটি পরিবার নিলামে গুদাম থেকে বেশ কিছু পুরনো সামগ্রি কিনে নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পর স্যুটকেসের মধ্যে মানুষের দেহাবশেষ খুঁজে পায়। এরপরই তারা পুলিশে খবর দেয়। এই ঘটনায় গত ১২ আগস্ট খুনের তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তবে পরিবারটি খুনের সঙ্গে জড়িত নয় বলেই ধারণা করছে তারা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তা তোফিলাউ ফামানুইয়া ভায়েলুয়া জানান, ময়নাতদন্তে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে এসব শিশুরা প্রাথমিক স্কুলে যাওয়ার বয়সী। তাদের বয়স পাঁচ থেকে ১০ বছরের মধ্যে।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘দুইটি মরদেহ একই আকারের দুইটি স্যুটকেসে রাখা ছিল। আমার বিশ্বাস এই স্যুটকেসগুলো বেশ কয়েক বছর ধরে গুদামে রাখা ছিল’। তিনি জানান, তিন-চার বছর ধরে লুকিয়ে রাখা থাকতে পারে।

নিলামে কেনা স্যুটকেসে মিললো মানুষের দেহাবশেষ

পুলিশ কর্মকর্তা তোফিলাউ ফামানুইয়া ভায়েলুয়া বলেন, যারা এই স্যুটকেসগুলো কিনেছিলেন তারা এসব মরদেহ পাওয়ার পর হতাশ হয়ে পড়েছেন। তারা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রাখার তাগিদ দিয়েছেন।

এই শিশুদের মৃত্যু কখন, কোথায় এবং কিভাবে হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে। ভায়েলুয়া বলেন, ‘আমাদের ময়নাতদন্তের পরীক্ষা এখনও সম্পূর্ণ হয়নি, এসব মৃতদেহের ক্ষেত্রে স্পষ্টতই চ্যালেঞ্জ রয়েছে’।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এই শিশুদের আত্মীয় এখনও নিউ জিল্যান্ডে রয়েছেন বলে বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে। তারা হয়তো তাদের প্রিয়জনের মৃত্যুর খবর জানেন না। তবে পুলিশ স্যুটকেসগুলো আগে যেখানে রাখা ছিল সেই গুদাম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি। তবে পুলিশ ইন্টারপোল এবং বিদেশি সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে বলে জানান তিনি। এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা সিসিটিভি ফুটেজ যোগাড় এবং সংগ্রহের দিকে নজর দিচ্ছি, তবে আমরা যে সময়কাল নির্দেশ করেছি তা একটি চ্যালেঞ্জ হবে’।

স্যুটকেসগুলোতে মরদেহের পাশাপাশি বাসাবাড়ির এবং ব্যক্তিগত সামগ্রি পাওয়া গেছে জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা ভায়েলুয়া বলেন, এগুলো থেকে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিতের তদন্তে সহায়তা করতে পারে।

সূত্র: গার্ডিয়ান