বন্যায় মৃত্যু ১২৬৫, আরও বেশি সহায়তা চায় পাকিস্তান

দিন দিন অবনতির দিকে পাকিস্তানের বন্যা পরিস্থিতি। দেশটির কয়েকটি প্রদেশ পানির নিচে। ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় মৃত্যু পৌঁছেছে প্রায় তেরশ’। ব্যাপক পরিসরে আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

শনিবার ইসলামাদের দেওয়া তথ্যমতে, অব্যাহত বন্যায় এখন পর্যন্ত এক হাজার ২৬৫ জন মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১ হাজার কোটি মার্কিন ডলার।

বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবাল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা ব্যাপক। এই সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষের জন্য ব্যাপক পরিসরে মানবিক সহায়তার প্রয়োজন। পাকিস্তানি প্রবাসী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সহায়তার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি’।

এর জন্য অবশ্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছেন জাতিসংঘের মহাসচিবসহ বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বের এই মারাত্মক সংকট দেখার পরও ঘুমিয়ে চলা বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছেন অ্যান্তনিও গুতেরেস। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানে সফরের কথা রয়েছে তার।

দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেলুচিস্তান, সিন্ধু প্রদেশের বেশির ভাগ অঞ্চল প্লাবিত। খাইবার পাখতুনখোয়া এবং পাঞ্জাবের কিছু কিছু অংশ তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চলও। টানা বর্ষণে আকস্মিক বন্যায় বহু-ঘর বাড়ি, রাস্তা-ঘাট, বিদ্যুৎসংযোগ ক্ষতিগ্রস্ত।

প্লাবিত অঞ্চলে ত্রাণ পৌঁছে দিতে বেশ ভুগতে হচ্ছে জরুরি বিভাগের সদস্যদের। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এই কাজে অংশ নিয়েছে। কয়েক লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।