ফিলিপাইনে মধ্যবর্তী নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে। সাধারণত এই নির্বাচন কম উত্তেজনাপূর্ণ হলেও এবার তা রূপ নিয়েছে প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র এবং তার একসময়ের মিত্র, বর্তমানে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভাইস প্রেসিডেন্ট সারা দুতার্তের মধ্যে এক আবেগপ্রবণ ক্ষমতার লড়াইয়ে। সোমবার (১২ মে) সকাল থেকেই চলছে ভোট গ্রহণ। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ফিলিপাইনের ভোটাররা আজ ১ হাজার ৮০০–এর বেশি পদে প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। যদিও ভোটের ব্যালটে ফার্দিনান্দ বা সারা—দুজনের কারও নামই নেই, তবে তাঁরা তাঁদের পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে জোরালো প্রচার চালিয়েছেন। এই তীব্র রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ১১ কোটি জনসংখ্যার দেশটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ভারসাম্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
মার্কোসের জন্য এই নির্বাচনে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে তার নীতিনির্ধারণী এজেন্ডা, রাজনৈতিক ঐতিহ্য ও ২০২৮ সালের উত্তরসূরি নির্ধারণে প্রভাব। অন্যদিকে ভাইস প্রেসিডেন্ট সারা দুতার্তের রাজনৈতিক টিকে থাকার বিষয়টিও এই নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে, কারণ তার বিরুদ্ধে একটি সম্ভাব্য অভিশংসন বিচার চলছে, যা তাকে আজীবনের জন্য প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথ বন্ধ করে দিতে পারে।
মেয়র, গভর্নর ও হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের অনেক পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও, মূল লড়াইটি ২৪ সদস্যবিশিষ্ট সিনেটের ১২টি গুরুত্বপূর্ণ আসন ঘিরে। সিনেট একটি প্রভাবশালী আইন প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান, যা জনমত গঠনে এবং প্রেসিডেন্টদের রাজনৈতিক উচ্চাশা ধ্বংস করতে পারে।
সোমবার সকালে নিজ নিজ এলাকায় ভোট দিয়েছেন মার্কোস ও দুতার্তে। সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে সারা দুতার্তের বাবা। রদ্রিগো দুতার্তে বর্তমানে ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে’ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের মুখোমুখি হচ্ছেন।