তাইওয়ানকে রক্ষা করবে মার্কিন বাহিনী, চীনকে হুঁশিয়ারি বাইডেনের

চীনের হামলার শিকার হলে তাইওয়ান ভূখণ্ডকে মার্কিন বাহিনী রক্ষা করবে বলে আবারও মন্তব্য করেছেন যু্ক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ ক্ষেত্রে মার্কিন নীতির কোনও পরিবর্তন হয়নি বলে সিবিএস নিউজকে সাক্ষাৎকারে সাফ জানিয়ে দেন তিনি।

তাইওয়ান ইস্যুতে রবিবার প্রচারিত সাক্ষাৎকারে বাইডেনকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তাইওয়ানকে মার্কিন বাহিনী রক্ষা করবে? জবাবে বাইডেন বলেন ‘হ্যাঁ’। হোয়াইট হাউজ তার নীতি থেকে সরেনি।

পূর্ব চীনের উপকূলে অবস্থিত স্ব-শাসিত দ্বীপ তাইওয়ান যা বেইজিং নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দাবি করে আসছে। যদিও নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র বলে তাইওয়ান। দ্বীপটি নিয়ে চীনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক টানাপোড়েন চলছে ওয়াশিংটনের।

রবিবার সিবিএস নিউজের ৬০ মিনিটস সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট বাইডেন পুনর্ব্যক্ত করেন, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে না এবং আমরা ‘এক-চীন’ নীতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ওয়াশিংটন আনুষ্ঠানিকভাবে তাইপেকে নয় বেইজিংকে স্বীকৃতি দেয়।

গত মাসে প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন, তাইওয়ান আক্রমণ হলে সামরিক হস্তক্ষেপ করা হবে। আমেরিকার দীর্ঘস্থায়ী নীতি থেকে কোনও প্রস্থান হবে না।

চলতি মাসের শুরুতে তাইওয়ানের কাছে ১১০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারের লক্ষ্যেই বাইডেন প্রশাসন এ পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে আছে ৬৬ কোটি ৫০ লাখ ডলারের ‘রাডার ওয়ার্নিং সিস্টেম’। আছে ৩৫ কোটি ৫০ লাখ ডলারের ৬০টি হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র, যা যেকোনো জাহাজ ডুবিয়ে দিতে সক্ষম। যদিও এসব অস্ত্র তাইওয়ানের কাছে বিক্রি করতে হলে মার্কিন কংগ্রেসের অনুমতি লাগবে।

যদিও এ নিয়ে চীন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জানায়, এটা বাতিল করা না হলে ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে পাল্টাব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্র: বিবিসি