পর্যটকদের বিনামূল্যে ৫ লাখ বিমান টিকিট দেবে হংকং

করোনাভাইরাস মহামরি শুরু হওয়ার আগে বছরে সাড়ে পাঁচ কোটির বেশি পর্যটক হংকং ভ্রমণ করতেন। গত দুই বছর ধরে বিশ্বের কঠোরতম বিধিনিষেধের কারণে জনপ্রিয় পর্যটন স্থানটিতে কমে গেছে পর্যটকদের সংখ্যা।

মহামরির বিধিনিষেধ শিথিল করে যখন বিশ্ব অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর পথে রয়েছে তাতে শামিল হয়েছে হংকং। কিছুদিন আগে দেশটি বিদেশিদের জন্য বাধ্যতামূলক হোটেল কোয়ারেন্টিনের বিধি বাতিল করেছে। এবার দেশটি পর্যটন খাতকে চাঙ্গা করতে পাঁচ লাখের বেশি বিমান টিকিট বিনামূল্যে সরবরাহ করতে যাচ্ছে।

দুই বছর আগে এমন ঘোষণার বিষয়টি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে নিশ্চিত করেছিলেন এয়ারপোর্ট অথরিটি হংকং-এর এক মুখপাত্র। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, ২৫৪.৮ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ৫ লাখ বিমান টিকিট দেশটিতে অবস্থানরত মানুষসহ বিশ্বের পর্যটকদের দেওয়া হবে।

মুখপাত্র বলেছিলেন, ২০২০ সালে এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ অ্যাভিয়েশন খাতকে সহযোগিতার অংশ হিসেবে ৫ লাখ বিমান টিকিট অগ্রিম কিনেছিল। এয়ারলাইন্সগুলোকে টিকিয়ে রাখার জন্য টিকিটগুলো কেনা হয়। এগুলো বিশ্বের পর্যটক ও হংকংয়ের বাসিন্দাদের দেওয়া হবে বাজার পুনরুদ্ধার কর্মসূচির অংশ হিসেবে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থাপনা শেষ হলে বিস্তারিত ঘোষণা দেওয়া হবে।

করোনাভাইরাস বিধিনিষেধের কারণে বিশ্ব থেকে মোটাদাগে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে হংকং। দেশটির কঠোর নীতি অনুসারে, বিদেশ থেকে আগতদের ২১দিন বাধ্যতামূলক হোটেল কোয়ারেন্টিনে থাকতে হত নিজের খরছে। এছাড়া শুধু হংকংয়ের বাসিন্দাদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হত।

২৬ সেপ্টেম্বর কোয়ারেন্টিনে থাকার মেয়াদ সাত দিন থেকে কমিয়ে তিন দিন করা হয়েছে। তবে এখন আর হোটেলে থাকা বাধ্যতামূলক না। নিজেদের তত্ত্বাবধানে এই কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এরপর থেকে স্থানীয়রা বিমান টিকিট কিনতে এয়ারলাইন্সগুলোর ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারতে শুরু করেছেন।

বাধ্যতামূলক হোটেল কোয়ারেন্টিন প্রত্যাহার হলেও বেশ কিছু বিধিনিষেধ এখনও বহাল রয়েছে। বিদেশ থেকে আগতদের টিকার সনদ, নেগেটিভ পিসিআর টেস্ট ও র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ফল জমা দিতে হবে। হংকং পৌঁছার পর তিন দিন রেস্তোঁরায় খাবার খেতে পারবেন না ও বারে যেতে পারবেন না ভ্রমণকারীরা।

এছাড়া পর্যটকদের হংকং পৌঁছার দ্বিতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ দিতে পিসিআর টেস্ট এবং সপ্তম দিন পর্যন্ত প্রতিদিন র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করতে হবে।

সূত্র: সিএনএন