ইমরান খানের ওপর হামলা

প্রমাণ মিললে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ শাহবাজের

পাকিস্তানে লং মার্চে ইমরান খানকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। সমাবেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরানকে গুলি করার প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভের মধ্যেই এ কথা বলেছেন তিনি। খবর আল জাজিরা’র।

বৃহস্পতিবার লং মার্চে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির চেয়ারম্যান ইমরান খানকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় হামলাকারীরা। এতে পায়ে গুলি লাগে তার। হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর তিনি বলেন, তার পায়ে চারটি গুলি বিদ্ধ হয়।

এ ঘটনায় ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এবং এক শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা জড়িত বলে প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন সাবেক এ তারকা ক্রিকেটার। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাদের কোনও অফিসার জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করা হয়েছে। ইমরানের বক্তব্যকে অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

হামলার ঘটনায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে তার সমর্থকরা। পাকিস্তানে আগাম নির্বাচনের দাবি এবং ইমরান খানের ওপর হামলায় প্রকৃত জড়িতদের সামনে এনে বিচারের দাবি তাদের।

এমন পরিস্থিতিতে শনিবার (৫ অক্টোবর) লাহোরে সাংবাদিকদের নিজের অবস্থান তুলে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ বলেন, এ ঘটনায় আমার সম্পৃকত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকার অধিকার নেই। ইমরান খান যে তিনজনের নাম উল্লেখ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধ প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি। যদি আমার বিরুদ্ধে এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায় তবে চিরতরে রাজনীতি ছেড়ে দেবে।

প্রধানমন্ত্রী শরিফ আরও বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ‘মিথ্যা ও সস্তা ষড়যন্ত্র’ করে দেশের ক্ষতি করছেন। তিনি সুপ্রিম কোর্টকে ‘গুরুতর’ অভিযোগের তদন্তের জন্য একটি পূর্ণ-আদালত কমিশন গঠনের আহ্বান জানাই। আমি প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়ালকে একটি পূর্ণ-আদালত কমিশন গঠনের অনুরোধ করছি। পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের পরে এ বিষয়ে অবিলম্বে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।