মিয়ানমার জান্তার প্রতি আসিয়ানের ‘হুঁশিয়ারি’

দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট দ্য অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ ইস্ট এশিয়ান নেশন্স (আসিয়ান)-এর নেতারা মিয়ানমারকে হুঁশিয়ারি জানিয়ে বলেছেন, শান্তি পরিকল্পনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে হবে। তা না হলে জোটের বৈঠক থেকে মিয়ানমারকে বাদ দেওয়া হবে। শুক্রবার নম পেন-এ জোটটির সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি জানানো হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর সৃষ্ট রাজনৈতিক অস্থিতিশীলত পরিস্থিতি অবসান করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জান্তা ও আসিয়ানের মধ্যে পাঁচ দফার সমঝোতা হয়েছিল। কিন্তু এক বছর পর মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়ায় অসন্তুষ্ট আসিয়ান নেতারা। শুক্রবার আসিয়ান দেশগুলোর নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মিয়ানমারের সামরিক সরকারকে পাঁচ দফার আলোকে সুনির্দিষ্ট, বাস্তব সম্মত ও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে হবে।

সম্মেলনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, জোটের যে কোনও পর্যায়ে মিয়ানমারের প্রতিনিধি রাখার বিষয়টি তারা বিবেচনা করবেন। গত বছর থেকে জোটের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে মিয়ানমারের অংশগ্রহণ বাতিল করা হয়েছে। শুক্রবারের সম্মেলনে মিয়ানমারের চেয়ার ছিল খালি।

ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেত্নো মারসুদি বলেছেন, শুক্রবারের বক্তব্য মিয়ানমার জান্তার প্রতি একটি কঠোর বার্তা বা এমনকি সতর্ক বার্তা দেবে।

এই বিষয়ে মিয়ানমার জান্তার এক মুখপাত্র মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি। এর আগে জান্তার পক্ষ থেকে স্থিতিশীলতার পথে অগ্রগতি না হওয়ার জন্য করোনাভাইরাস মহামারি ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বাধার কথা উল্লেখ করে আসছিল।

গত বছর সামরিক অভ্যুত্থানে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন বেসামরিক সরকার উৎখাত হওয়ার পর থেকে মিয়ানমারে রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। অভ্যুত্থানের পর গণতন্ত্রপন্থীদের ওপর কঠোর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে সরকার।

সদস্য দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার চিরাচরিত রীতি ভেঙে মিয়ানমার জান্তার সমালোচনা করে আসছে। তবে তারা পশ্চিমা ধাঁচে সামরিক সরকারের নিষেধাজ্ঞা বা জোট থেকে তাদের বহিষ্কার করা থেকে বিরত থেকেছে।

মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি অ্যাক্টিভিস্টরা বলছেন, শুক্রবার গৃহীত আসিয়ানের সিদ্ধান্ত যথেষ্ট নয়।