চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক ছিল ইতিবাচক: অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক ইতিবাচক ও গঠনমূলক ছিল বলে মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজ। মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ সম্মেলনে পার্শ্ববৈঠকে দুই নেতা মিলিত হন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

প্রায় এক বছর ধরে অস্ট্রেলিয়া ও চীনের সম্পর্ক শীতল। এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে সেই অবস্থা কাটলো বলে মনে করা হচ্ছে।

২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়া একটি আইন জারি করে। বিদেশি হস্তক্ষেপ আইন পাসের কয়েক মাস পর নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে প্রথম পশ্চিমা দেশ হিসেবে চীনা কোম্পানি হুয়াওয়েকে নিষিদ্ধ করে অস্ট্রেলিয়া।

একই সঙ্গে করোনাভাইরাসের উৎস অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়েও বেইজিংকে ক্ষুব্ধ করেছিল ক্যানবেরা। এছাড়া হংকংয়ে চীনের পদক্ষেপ ও জিনজিয়াংয়ে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমালোচনা এবং আকুস চুক্তিতেও স্বাক্ষর ভালোভাবে নেয়নি চীন।

পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে অস্ট্রেলীয় কয়েকটি পণ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করে চীন। অস্ট্রেলিয়ার সাংবাদিকদের চীন থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং চীনা শিক্ষার্থী ও পর্যটকদের অস্ট্রেলিয়া সফর এড়াতে সতর্কতা জারি করে বেইজিং। যা অস্ট্রেলিয়াকে ক্ষুব্ধ করে।

সমুদ্রেও দুই দেশ বেশ কয়েকটি বিপজ্জনক মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছিল।

বৈঠকের পর দেওয়া এক বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি ও শি জিনপিং বাণিজ্য, দূতাবাস ও মানবাধিকার ইস্যতে ইতিবাচক ও গঠনমূলক আলোচনা করেছেন। অস্ট্রেলিয়া-চীন সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে এই বৈঠক ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

দেড় ঘণ্টার এই বৈঠকের আগে অ্যান্থনি আলবেনিজ বলেছিলেন, চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে গঠনমূলক সংলাপের প্রত্যাশা করছেন তিনি। একই সঙ্গ দ্বিপক্ষীয় শ্রদ্ধা ও স্বার্থের ভিত্তিতে সম্পর্ক স্থিতিশীল করার চেষ্টায় উভয় পক্ষ কাজ করায় প্রশংসাও করেন তিনি।

আলবেনিজ বলেন, আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কগুলোর একটি।