নেপালে পার্লামেন্ট নির্বাচন: ভোটগ্রহণ শেষ, গণনা শুরু রাতে

নতুন পার্লামেন্ট ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে রবিবার ভোট দিয়েছেন নেপালের কয়েক লাখ মানুষ। কঠোর নিরাপত্তায় রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা কাটিয়ে ওঠার প্রত্যাশার মধ্যে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় ২২ হাজার কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। রাতেই শুরু গণনা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু এ খবর জানিয়েছে।

নেপালের প্রধান নির্বাচন কমিশনার দিনেশ কুমার থাপালিয়া বলেছেন, রবিবার রাত ৯টায় কঠোর নিরাপত্তায় ভোট গণনা শুরু হবে। এর আগে সবগুলো ব্যালট বাক্স সংগ্রহ করা হবে।

থাপালিয়া বলেছেন, আগামী আট দিনের মধ্যে কমিশন প্রথম দফা ফলাফল ঘোষণা করবে। তবে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে ৮ ডিসেম্বর।

নেপালের ২৭৫ সদস্যের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য নির্বাচনে ভোট দেওয়ার উপযুক্ত ভোটার সংখ্যা ১ কোটি ৭৯ লাখ। মোট আসনের মধ্যে ১৬৫টিতে সদস্য সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন। বাকি ১১০টি আসনের সদস্য নির্বাচিত হবেন আনুপাতিক নির্বাচনি ব্যবস্থায়।

একই দিনে সাতটি প্রাদশিক পরিষদের প্রতিনিধিদের নির্বাচন করতেও ভোট দিয়েছেন নেপালের নাগরিকরা। প্রাদেশিক পরিষদের ৫৫০ সদস্যের মধ্যে ৩৩০ জন সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন। অবশিষ্ট ২২০ জন নির্বাচিত হবেন আনুপাতিক ব্যবস্থায়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নেপালে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট গঠন হতে পারে। যা দেশটিকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পথে নিয়ে যাবে না।  

দশক ব্যাপী মাওবাদী নেতৃত্বাধীন সশস্ত্র বিদ্রোহের অবসানের পর থেকেই নেপালের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা জারি রয়েছে পার্লামেন্ট ঘিরে। ২০০৬ সালে গৃহযুদ্ধ অবসানের পর হতে এখন পর্যন্ত কোনও প্রধানমন্ত্রী মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। দলগুলোর ক্ষমতার লড়াইকে দেশটির অর্থনৈতিক অগ্রগতি না হওয়ার কারণ হিসেবে দায়ী করা হয়।

এবারের নির্বাচনে মূল লড়াই হচ্ছে দুটি রাজনৈতিক জোটের মধ্যে। ক্ষমতাসীন নেপালি কংগ্রেসের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক এবং বামপন্থীদের জোট এবং সিপিএন-ইউএমএল নেতৃত্বাধীন বামপন্থী ও হিন্দুপন্থী জোট।

নেপালি কংগ্রেসের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা। সাবেক মাওবাদী গেরিলা নেতা পুষ্প কমল দহল ‘প্রচণ্ড’-এর সঙ্গে জোট বেঁধেছেন তিনি। নির্বাচনে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বি সাবেক প্রধানমন্ত্রী কে.পি. শর্মা ওলি।