নারী কর্মী নিষিদ্ধ, আফগানিস্তানে কার্যক্রম স্থগিত বিদেশি ত্রাণ সংস্থার

আফগানিস্তানে কর্মরত তিনটি বৃহত্তম এনজিও নিজেদের কার্যক্রম স্থগিত করেছে। দেশটির শাসকগোষ্ঠী তালেবান কর্তৃপক্ষ এসব প্রতিষ্ঠানে নারী কর্মী নিষিদ্ধ করার পর তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

শনিবার তালেবান এক নির্দেশ জারি করে। এতে বলা হয়েছে, বিদেশি বেসরকারি সংস্থায় (এনজিও) কাজ করতে পারবে না দেশটির নারীরা। তালেবানের এমন নির্দেশের পর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র।

এক যৌথ বিবৃতিতে কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল, নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল (এনআরসি) এবং সেভ দ্য চিলড্রেন বলেছে, ‘নারী কর্মীদের’ ছাড়া তারা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছে না।

তারা কর্মক্ষেত্রে নারীদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার দাবি জানিয়েছে।

আফগানিস্তানের তালেবান কর্তৃপক্ষ ক্ষমতা দখলের পর থেকেই ধীরে ধীরে নারীদের অধিকার বাতিল করছে। আফগান বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের নিষিদ্ধ করার পর এনজিওতে নারী কর্মীদের কাজে বাধা দিলো তালেবান।  

তালেবান অর্থ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদেল রহমান হাবিব দাবি করেছেন, বিদেশি ত্রাণ গোষ্ঠীতে কর্মরত নারীরা হিজাব না পরে পোশাকবিধি লঙ্ঘন করছেন।

তালেবান হুমকি দিয়ে বলেছে, যেসব সংস্থা নিষেধাজ্ঞা মানবে না তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

কেয়ার, এনআরসি ও সেভ দ্য চিলড্রেন বলেছে, নারী কর্মীরা না থাকলে ২০২১ সালের আগস্টের পর যৌথভাবে তারা কোটি আফগানদের কাছে পৌঁছাতে পারত না।

দুই দশক আগে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক অভিযানে উৎখাত হওয়ার পর ২০২১ সালে আগস্টে পুনরায় আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান।