তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে চীনের ক্ষোভ

স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ ও আপত্তি তুলেছে চীন। মঙ্গলবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের যেকোনও আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের দৃঢ় বিরোধিতা করে চীন। যুক্তরাষ্ট্রকে তিনি ‘এক চীননীতি’র প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

সাই ইং-ওয়েন মধ্য আমেরিকা সফরের পথে যুক্তরাষ্ট্রের বিরতি নেবেন। কিছু দিন আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থির সঙ্গে তার বৈঠকের খবর প্রকাশ হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হয়নি। অবশ্য তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নিয়মিত লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় দেশগুলো সফরের সময় যুক্তরাষ্ট্র হয়ে ভ্রমণ করেন। উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকেও অংশ নেন তিনি। কিন্তু এগুলো কখনও রাষ্ট্রীয় সফর বা বৈঠক নয়।

দ্বীপটিকে চীন নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে। তাইওয়ানের সঙ্গে অনেক দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রেরও আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে দ্বীপটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সমর্থক ও অস্ত্র সরবরাহকারী হলো ওয়াশিংটন।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদী আচরণকে সমর্থন না করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ওয়াশিংটন, দেশটির উচিত তা রক্ষা করা। তাইপের সঙ্গে অবিলম্বে মার্কিন কর্মকর্তাদের যোগাযোগ বন্ধ করা উচিত।

ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, আমরা আবারও তাইওয়ানের প্রশাসনকে সতর্ক করছি: তাইওয়ানের স্বাধীনতার কোনও ভবিষ্যৎ নেই। চীন দৃঢ়তার সঙ্গে নিজের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করবে।

তাইওয়ান প্রণালীতে উত্তেজনা শুরু হয় ২০২২ সালের আগস্টে তৎকালীণ মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপে সফরের পর।

১৯৪৯ সাল থেকে তাইওয়ান স্থানীয় প্রশাসন দ্বারা স্বশাসিত হয়ে আসছে। চীনা গৃহযুদ্ধের সময় মাও সে তুংয়ের নেতৃত্বে কমিউনিস্টরা ক্ষমতা দখল করলে চিয়াংকাইশেকের কওমিনতাং বাহিনী তাইওয়ানে আশ্রয় নেয়। তাইওয়ান নিজেদের রাষ্ট্রীয় নাম এখনও ‘রিপাবলিক অব চায়না’ রেখেছে। কমিউনিস্টরা ক্ষমতা দখলের আগে চীনের রাষ্ট্রীয় ছিল এটি। বেইজিং দ্বীপটিকে নিজেদের একটি প্রদেশ হিসেবে মনে করে।

সূত্র: তাস, রয়টার্স