তাইওয়ান প্রেসিডেন্টের সফর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি চীনের

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রে পরিকল্পিত ট্রানজিটের সময় মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে ‘কঠোর জবাব’ দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন।

চীনের পক্ষ থেকে বুধবার (২৯ মার্চ) এমন সময় হুঁশিয়ারি এসেছে, তাইওয়ানের প্রেসিডন্ট সাই ইং-ওয়েন যখন ১০ দিনের জন্য মধ্য আমেরিকায় রাষ্ট্রীয় সফরে রওনা হয়েছেন। ওই সফরে কার কার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এ নিয়ে প্রাথমিক পরিকল্পনাও প্রকাশ হয়েছে।

একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে জানা গেছে, সাই ইং-ওয়েন এই সফরে নিউ ইয়র্ক এবং ক্যালিফোর্নিয়ায় যাত্রাবিরতি করবেন। ১০ দিনের সফরে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ায় কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন কিনা, এ বিষয়ে দুই দেশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গত বছর বেইজিংয়ের হুমকি উপেক্ষা করে তাইওয়ানের রাজধানী তাইপে সফর করেন সাবেক মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। এর প্রতিবাদে তাইওয়ান প্রণালীর আশপাশে বড় ধরনের সামরিক মহড়া চালায় চীনা সামরিক বাহিনী। এতে তাইওয়ানের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয় চীনের।

বুধবার চীনের তাইওয়ান অ্যাফেয়ার্স কার্যালয়ের মুখপাত্র ঝু ফেংলিয়ান বেইজিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে সাই এর ‘ট্রানজিট’ শুধু বিমানবন্দর বা হোটেলে যাত্রাবিরতির জন্য নয়। মার্কিন কর্মকর্তা এবং আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে দেখা করাটাই আসল উদ্দেশ্য।

ঝু ফেংলিয়ান আরও বলেন, তিনি মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ম্যাককার্থির সঙ্গে দেখা করলে আরেকটি উস্কানি হবে। যা এক-চীন নীতিকে গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করে, চীনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার ক্ষতি করে। যা তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।

কিন্তু তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টদের ক্ষেত্রে এ ধরনের ট্রানজিটকে স্বাভাবিক এবং নিয়মিত বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন ও স্বায়ত্বশাসিত হিসেবে দাবি করছে। এমন অবস্থায় চীনের হুমকি সত্ত্বেও তাইপের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ধরে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র বিক্রি করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে অঞ্চলটিতে।