তাইওয়ানকে ‘বিপুল’ সামরিক সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র, উত্তেজনা বাড়াতে না বললো চীন

চীনের আগ্রাসন মোকাবিলায় তাইওয়ানকে আরও ৩৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এতে সামরিক সরঞ্জাম এবং প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। স্বায়ত্বশাসিত দ্বীপটির সরকারকে এই সহায়তার মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নিজেদের উপস্থিতি জোরালো করার ইঙ্গিত দিল বাইডেন প্রশাসন।

মিত্র তাইওয়ানকে কোন ধরনের অস্ত্র দেওয়া হবে এ বিষয়ে বিবরণ দেয়নি হোয়াইট হাউজ। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেছেন, আকাশপ্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ছোট আকারের অস্ত্র ও গোলাবারুদ এতে অন্তর্ভুক্ত থাকছে। 

ওয়াশিংটনের এমন ঘোষণায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া এসেছে চীনের পক্ষ থেকে। যারা তাইওয়ানকে নিজেদের একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হিসেবে বিবেচনা করে আসছে বছরের পর বছর। কিন্তু তাইপে নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র বলে দাবি করে।

চীনের মহড়া, ফাইল ছবি: গ্লোবাল টাইমস

ওয়াশিংটনের চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিও পেংইউ বলেছেন, ‘তাইওয়ানের কাছে অবশ্যই অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করা উচিত যুক্তরাষ্ট্রের। তাইওয়ান প্রণালীতে ফের কোনও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, এমন কিছু না করাই ভালো।’

তাইওয়ানকে চীনের সঙ্গে একীভূত করা হবে বলেও মন্তব্য করেছেন এই চীনা মুখপাত্র।

তাইপেকে এখনও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি ওয়াশিংটন, তবে প্রায়শই মার্কিন কূটনীতিকদের যাতায়াত রয়েছে দ্বীপটিতে। যা নিয়ে চীনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে। তাইওয়ানকে সহায়তা দেওয়া নিয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় প্রণালীতে সামরিক মহড়া পরিচালনা করে থাকে বেইজিং। দ্বীপটির সরকারের অভিযোগ, তাদের আকাশপ্রতিরক্ষা জোনে প্রায়শই চীনা বিমান অনুপ্রবেশ করে। যা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।

এই মাসের শুরুর দিকে চলতি বছরে দ্বিতীয়বার তাইওয়ানকে ঘিরে বড় সামরিক মহড়া চালায় চীন। দ্বীপের উপকূলরেখার আশপাশে ডজনখানেক যুদ্ধজাহাজ এবং বিমান পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের সতর্কবার্তা পাঠায় দেশটি। যদিও তাইওয়ানকে যেকোনও মূল্যে চীনের হুমকি থেকে রক্ষার ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় তাইপের জন্য কয়েক বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তার অনুমোদন দিয়েছে ওয়াশিংটন। ২০২৬ সালের মধ্যে ৬৬টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করবে বলে চুক্তিতে রয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা