ইউক্রেনে আরও ৩ হাজার চেচেন যোদ্ধা পাঠাতে প্রস্তুত রমজান কাদিরভ

ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বাহিনীর পক্ষে নতুন আরও ৩ হাজার যোদ্ধা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন চেচনিয়ার প্রেসিডেন্ট রমজান কাদিরভ। সোমবার (২৭ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে দেওয়া একে পোস্টে এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

কাস্পিয়ান অঞ্চলের চেচনিয়া প্রদেশের প্রেসিডেন্ট রমজান কাদিরভ। তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘অত্যন্ত আস্থাভাজন’ হিসেবে পরিচিত। সোমবার টেলিগ্রামে দেওয়া ওই পোস্টে নতুন যোদ্ধাদের দক্ষতা নিয়ে কাদিরভ বলেন, ‘এই যোদ্ধাদের সবাই অত্যন্ত লড়াকু মানসিকতার এবং লক্ষ্য অর্জনের প্রতি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘তাদের প্রত্যেকেই সেরা সামরিক সরঞ্জাম ও আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও রাশিয়ান ন্যাশনাল গার্ড ফোর্সের অধীনে ইউক্রেনে গঠিত নতুন ইউনিটে যুদ্ধ করবে তারা।’

গত মে মাসে, কাদিরভ জানিয়েছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রুশ বাহিনীতে এ পর্যন্ত মোট ২৬ হাজার চেচেন সেনা পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৪ হাজার প্রশিক্ষিত এবং ১২ হাজার স্বেচ্ছাসেবী সেনা সদস্য ছিল।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে রমজান কাদিরভের নির্দেশে রুশ বাহিনীর পক্ষে হাজার হাজার চেচেন যোদ্ধা যোগ দিয়েছেন। একইসময়, ইউক্রেনীয় বাহিনীর পক্ষে লড়াইয়ে নামে কাদিরভ বিরোধী বিভিন্ন সশস্ত্র চেচেন গোষ্ঠী।

এদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে রুশ সমর্থিত ওয়াগনার গ্রুপ। তাদের যোদ্ধারা গত ২৩ জুন রুশ বাহিনী ও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার আগ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ‘অপারেশনে’ রীতিমতো নেতৃত্ব দিয়েছে।

তবে নভেম্বরের শুরুর দিকে কাদিরভ জানিয়েছিলেন, ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন নিহত হওয়ার পর তাদের যোদ্ধাদের একটি অংশ চেচেন বাহিনীতে যোগ দেয়।

গত ২৪ আগস্ট এক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার কিছুদিনের মধ্যে তার মৃত্যুর ঘটনা নানা জল্পনা কল্পনার জন্ম দিয়েছিল।