আজ চীন সফরে যাচ্ছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করতে রবিবার (৩ ডিসেম্বর) চীনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। বেলারুশের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, চলতি বছরে দ্বিতীয়বারের মতো চীন সফরে যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ এ মিত্র। এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এই খবর প্রকাশ করেছে।

বেলটা রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, চলতি বছরের ২৮ থেকে ২ মার্চ প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয়ভাবে চীন সফরে যান লুকাশেঙ্কো। চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া অনুসারে, এসময় তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মানের সঙ্গে স্বাগত জানানো হয়।

লুকাশেঙ্কোর প্রেস সার্ভিসের বরাত দিয়ে বেলটিএ জানায়, ‘বেইজিংয়ে আলোচনায় বসবেন বেলারুশের রাষ্ট্র প্রধান এবং গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।’ তাদের আলোচনায় ‘বাণিজ্য, অর্থনীতি, বিনিয়োগ এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’

চলতি বছর তাদের প্রথমে বৈঠকের পর শি বলেছিলেন, চীন-বেলারুশ ‘বন্ধুত্ব অটুট। উভয় পক্ষের উচিত ক্রমাগত পারস্পরিক রাজনৈতিক বিশ্বাস বৃদ্ধির মাধ্যমে একে অপরের প্রকৃত বন্ধু এবং আরও ভাল অংশীদার হওয়া।’

১৯৯৪ সাল থেকে বেলারুশের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন লুকাশেঙ্কো। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনকে সমর্থন করেছিলেন তিনি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করতে মস্কোকে তার অঞ্চল ব্যবহার করার অনুমতি দিয়ে পশ্চিমাদের রোষানলে পড়েন লুকাশেঙ্কো।

এদিকে, রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলে চীন। এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের কোনও নিন্দা করেনি দেশটি। তবে চলতি বছর ইউক্রেন সংঘাতের ইতি টেনে শান্তির আহ্বান জানায় বেইজিং।

১লা মার্চের বৈঠকের পর ইউক্রেনে ‘যত দ্রুত সম্ভব’ শান্তি চুক্তির আহ্বান জানান লুকাশেঙ্কো এবং শি। তবে ইউক্রেন যুদ্ধের ২২তম মাসে এসেও এর কোনও উন্নতি হয়নি। চলমান এ সংঘাত বন্ধে কোন পক্ষই আলোচনার জন্য আপস করতে রাজি নয়।