আত্মরক্ষার চেষ্টায় পারমাণবিক অস্ত্রে সক্ষমতা অর্জনের কোনও আগ্রহ নেই দক্ষিণ কোরিয়ার। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এ কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। ওই সাক্ষাৎকারটি প্রচারের আগেই রেকর্ড করা হয়েছিল। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এই খবর জানিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট সাফ জানিয়েছেন, পারমাণবিক অস্ত্রধারী উত্তর কোরিয়ার হুমকির মুখে দেশটি তার নিজস্ব পারমাণবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থার সন্ধান করবে না। কেননা, মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক প্রতিরোধের কৌশলগুলোকে আরও ত্বরান্বিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
বুধবার রাতে প্রচারিত কেবিএস টেলিভিশনকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ইউন জোর দিয়ে বলেছেন, পারমাণবিক অস্ত্রের সক্ষমতা অর্জন করতে চাইলে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে সে সব প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি রয়েছে। তবে এমন পদক্ষেপ একটি বাস্তবসম্মত বিকল্প উপায় হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না। কেননা, এতে দেশটির বাণিজ্য-নির্ভর অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে পড়বে।
পারমাণবিক অপ্রসারণ চুক্তিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিশ্রুতির উপর জোর দেওয়ার সময় ইউন বলেছেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করলে উত্তর কোরিয়ার মতো আমরাও বিভিন্ন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা পাব এবং তা আমাদের অর্থনীতির উপর একটি গুরুতর জখম হবে।’
২০২২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতা গ্রহণ করেন রক্ষণশীল ইউন। ক্ষমতা গ্রহণের আগেও পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়ে একই ধরনের মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে পারমাণবিক অস্ত্রের মালিকানা গ্রহণের বিকল্প হিসেবে আত্মরক্ষার প্রয়োজনে মার্কিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে শক্তিশালী আশ্বাসের জন্য চাপ দিয়েছিলেন ইউন।
তিনি বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য পারমাণবিক হামলার ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়াকে রক্ষার জন্য ওয়াশিংটন তার পারমাণবিক ক্ষমতা দ্রুত এবং সিদ্ধান্তমূলকভাবে ব্যবহার করবে।
বছরের পর বছর ধরে কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে বর্তমানে এই উত্তেজনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। কেননা, উত্তর কোরিয়া তার অস্ত্র পরীক্ষা ত্বরান্বিত করেই চলেছে। একে একটি পারমাণবিক সংঘাতের উসকানিমূলক হুমকি হিসেবেই বিবেচনা করছে দক্ষিণ কোরিয়া।