নতুন প্রজন্মের এইচ-৩ রকেট উৎক্ষেপণ করলো জাপান

গত বছরে ব্যর্থ হওয়ার পর এবার সফলভাবে নতুন প্রজন্মের এইচ-৩ রকেট উৎক্ষেপণ করেছে জাপান। কাগোশিমা প্রিফেকচারের তানেগাশিমার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় দ্বীপের তানেগাশিমা মহাকাশ কেন্দ্র থেকে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

এই উৎক্ষেপণের মাধ্যমে টানা দ্বিতীয়বারের মতো মহাকাশে রকেট পাঠানোর রেকর্ড উঠেছে জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জেএএক্সএ) এর ঝুলিতে। এর আগে, গত মাসে চাঁদে ল্যান্ডার এসএলআইএম পাঠিয়েছিল সংস্থাটি।

টোকিওর সময় সকাল ৯:২২টায় এইচ-৩ রকেটটি ‘সফল উত্তোলন’ করা হয়। রকেট উৎক্ষেপণের মুহূর্তটি লাইভে শেয়ার করেছিল জেএএক্সএ। এসময় তানেগাশিমা স্পেস সেন্টারে বিজ্ঞানীদেরকে হাততালি দিতে এবং একে অপরকে খুশিতে জড়িয়ে ধরতে দেখা গেছে।

পরে সংস্থাটি জানিয়েছে, রকেটটির দুটি মাইক্রোস্যাটেলাইট এবং একটি ডামি স্যাটেলাইটসহ অতিরিক্ত সব ওজন সফলভাবে ছেড়েছে।

আশা করা হচ্ছে, দুই দশকের পুরনো এইচ-টু রকেটকে প্রতিস্থাপন করবে পরবর্তী প্রজন্মের রকেট এইচ-৩। জেএএক্সএ এবং প্রাথমিক ঠিকাদার কোম্পানি মিটসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিস আশা করছে, রকেটটির কম খরচ এবং ব্যাপক ওজন ধারণ ক্ষমতা আন্তর্জাতিক গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করকে সক্ষম হবে এবং তাদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাওয়া যাবে।

৬৩ মিটার (২৯৭ ফুট) দৈর্ঘ্যের এইচ-৩ রকেটটি মহাকাশে ৬.৫ মেট্রিক টন ওজন বহন করতে সক্ষম। এর সহজ কাঠামো এবং অটোমোবাইল-গ্রেড ইলেকট্রনিক্সের কারণে প্রতি উৎক্ষেপণে খরচ কমিয়ে ৫০০ কোটি ইয়েন বা ৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার পর্যন্ত আনা হয়েছে। যা পূর্ববর্তী প্রজন্মের রকেট এইচ-২ এর তুলনায় প্রায় অর্ধেক। এর প্রতিটি উৎক্ষেপণে প্রায় এক হাজার কোটি ইয়েন খরচ হয়।

২০৩০ সালের মধ্যে এইচ-৩ রকেট ব্যবহার করে প্রায় ২০টি উপগ্রহ এবং প্রোব উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করেছে জাপান সরকার।

এই রকেট ২০২৫ সালে যৌথ জাপান-ভারত এলইউপিইএক্স প্রকল্পের জন্য একটি লুনার এক্সপ্লোরার পাঠাবে। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আর্টেমিসের চন্দ্রাভিযান কর্মসূচির জন্য কার্গো মহাকাশযানও সরবরাহ করবে এটি৷