থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় একাধিক স্থানে হামলা, নিহত ১

থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত ৪০টি স্থানে দোকান, গাড়ি এবং বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে হামলাকারীরা। এ ঘটনায় কমপক্ষে একজন নিহত হয়েছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) দিবাগত রাত একটায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

দক্ষিণাঞ্চলীয় পাত্তানি, ইয়ালা, নারাথিওয়াত এবং সোংখলা প্রদেশে এই ঘটনা ঘটেছে।

মালয়েশিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলটিতে এক দশক ধরে ধীরগতির বিদ্রোহ দেখা যাচ্ছে। অঞ্চলটি প্রধানত মুসলিম এবং জাতিগত মালয় অধ্যুষিত। দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে লড়াই করছে থাই সরকার।

থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার নিহত হওয়া ওই ব্যক্তি মিয়ানমারের এক নারী অভিবাসী শ্রমিক। একটি বিস্ফোরণে তিনি নিহত হয়েছেন।

দক্ষিণাঞ্চলের সামরিক বাহিনীর অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা অপারেশন কমান্ডের মুখপাত্র কর্নেল একভারিত চোবচোফল রয়টার্সকে বলেছেন, ‘দুষ্কৃতকারীরা রমজানের সময় শান্তি বিঘ্নিত করতে চায়।’

একভারিত বলেছেন, অপরাধীরা প্রথমে বাতাসে ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এরপর কর্মীদের দোকানগুলো থেকে বের করে ভবনগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে সংঘটিত অধিকাংশ হামলার মতো এই হামলারও দায় স্বীকার করেনি কেউ।

১৯০৯ সালে ব্রিটেনের সঙ্গে করা একটি চুক্তির অংশ হিসেবে দক্ষিণাঞ্চলটি দখল করেছিল থাইল্যান্ড। এর আগে, পাটানি নামের একটি স্বাধীন মালয় সালতানাতের অংশ ছিল এই অঞ্চল।

সহিংসতা পর্যবেক্ষণকারী একটি দল ডিপ সাউথ ওয়াচের মতে, বর্তমান এই সংঘাতের সাম্প্রতিক পর্বটি শুরু হয়েছিল ২০০৪ সালে। এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।