জলপাইগুড়িতে বিজেপির ইস্যু বাংলাদেশের তেঁতুলিয়া করিডর

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে বিজেপির ভোট প্রচারের ইস্যু ‘বাংলাদেশ’। গতবার বিজেপির প্রচারের ইস্যু ছিল বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগে হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেলপথ। এবারের ইস্যু বাংলাদেশের তেঁতুলিয়া করিডর।

১৯৬৫ সাল থেকে বন্ধ হয়ে যাওয়া ভারত-বাংলাদেশের হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেলপথটি চালুর দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী জয়ন্তকুমার রায়ের ভোট প্রচারের ইস্যু ছিল ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রুটে রেলপথ চালু করা। ভোটে জিতে  সাংসদ হয়ে তা বাস্তবায়ন করেছেন তিনি। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকা পর্যন্ত চলছে মিতালি এক্সপ্রেস। এবার বিজেপি প্রার্থী মূল ইস্যু করছেন ভারত থেকে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে তেঁতুলিয়া করিডর চালু করা। জয়ন্তকুমার রায়ের দাবি, তেঁতুলিয়া করিডর হয়ে গেলে জলপাইগুড়ি থেকে কলকাতার দূরত্ব অনেক কমে যাবে।

স্থানীয় মানুষের আশা তিনি এবারও ভোটে জিতলে কথা রাখবেন। চালু করবেন ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে তেঁতুলিয়া করিডর।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের চাউলহাটি বর্ডার থেকে শুরু তেঁতুলিয়া করিডরের। এই করিডোর ভারতের উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়াতে গিয়ে যুক্ত হবে। মাঝে থাকবে বাংলাদেশের তেঁতুলিয়া উপজেলার মধ্য দিয়ে ৪  দশমিক ২ কিলোমিটার রাস্তা। এই করিডর বাস্তবায়িত হলে উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে কলকাতার দূরত্ব কমবে। জলপাইগুড়ি থেকে এখন কলকাতার দূরত্ব ৫৭৬ কিলোমিটার। এই করিডর চালু হলে, তা হবে ৩৮৮ কিলোমিটার হয়ে যাবে।

জয়ন্ত রায় বলেন, ‘তেঁতুলিয়া করিডর নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। এবার বাংলাদেশের তেঁতুলিয়া করিডোর দিয়ে রেলপথ যদি করা যায়, সেই আলোচনাও চলছে। কলকাতা থেকে জলপাইগুড়ির দূরত্ব যেমন কমে যাবে, তেমনি সময়ও বাঁচবে। উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ আরও সহজ হবে।’