মিয়ানমারের সংলাপে সংবেদনশীল ইস্যু রয়েছে: থাই প্রধানমন্ত্রী

মিয়ানমারের জান্তা ও জান্তাবিরোধী গোষ্ঠীর মধ্যে আলোচনা শুরু করার ক্ষেত্রে সংবেদনশীল ইস্যু রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন। প্রতিবেশী দেশে ক্রমবর্ধমান সংঘাত নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনার পর মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) তিনি এ কথা বলেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

থাই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের অবশ্যই সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলতে হবে।

মিয়ানমারের বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র বিদ্রোহ চলছে। জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দিচ্ছে গণতন্ত্রপন্থি বিপ্লবী সরকার। ইতোমধ্যে বিদ্রোহীরা বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি ও শহর দখল করেছে। এর মধ্যে রবিবার থাইল্যান্ড সীমান্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর রয়েছে।

২০২১ সালে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর এই বিদ্রোহ মিয়ানমার জান্তার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। গত সপ্তাহে রাজধানী নেপিদোতে সামরিক স্থাপনায় সমন্বিত ড্রোন হামলার চেষ্টা করেছে বিদ্রোহীরা।

এর আগে এক সাক্ষাৎকারে থাই প্রধানমন্ত্রী রয়টার্সকে বলেছিলেন, মিয়ানমারের সামরিক সরকার ‘শক্তি হারাচ্ছে’ এবং আলোচনা শুরু করার এটিই উপযুক্ত সময়।

এদিকে, থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্নপ্রি বাহিদ্ধা-নুকারা বলেছিলেন, মিয়ানমারের সংঘাতে নিরপেক্ষ রয়েছে থাইল্যান্ড। সহিংসতায় বাস্তুচ্যুত হওয়া ১ লাখ লোককে আশ্রয় দিতে পারবে। তিনি যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে শান্তির জন্য আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন।