চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের

চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনদিনের চীন সফরে বৃহস্পতিবার (২৫)  ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। এসময় চীনা ব্যবসার মাঠে আমেরিকার জন্য একটি সমান সুযোগ তৈরী করার আহ্বান জানান ব্লিঙ্কেন।ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

উভয় দেশের মধ্যকার বিতর্কিত কিছু সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে তিন দিনের সফরে চীনে রয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মার্কিন সিনেটে ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানের জন্য প্রায় শত বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা বিল পাস হওয়ার পরই দেশটিতে অবতরণ করেন তিনি।

সম্প্রতি, চীনে আমেরিকান কোম্পানিগুলো কীভাবে কাজ করে এবং চীনা রফতানি ও উৎপাদন ক্ষমতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান মতভেদ দেখা দিয়েছে। একইসঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার প্রতি চীনা সমর্থনের বিষয়টি নিয়েও বাড়ছে উত্তেজনা।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, সাংহাইতে চীনের শীর্ষ কর্মকর্তা চেন জিনিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন ব্লিঙ্কেন। এসময় চীনের ‘বাণিজ্য নীতি’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।

ব্লিঙ্কেন বলেন, চীনের সঙ্গে একটি স্বাস্থ্যকর অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা এবং মার্কিন কর্মী ও চীনে কর্মরত সংস্থাগুলোর জন্য একটি সমান সুযোগ চায় যুক্তরাষ্ট্র।

চীনের উৎপাদন ক্ষমতা অধিক এমন কথাকে ভিত্তিহীন সমালোচনা বলে প্রত্যাখ্যান করেছে চীন। দেশটির বলছে, বৈদ্যুতিক যান থেকে শুরু করে সৌর প্যানেল পর্যন্ত চীনা শিল্পগুলো প্রতিযোগিতামূলক এবং উদ্ভাবনী।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে চেন বলেন, উভয় দেশের নেতাদের মধ্যকার সাম্প্রতিক প্রচেষ্টা ‘দুই দেশের সম্পর্কের স্থিতিশীলতা ও সুস্থতা বিকাশে সহায়তা করেছে। তিনি আরও বলেন,‘সহযোগিতা বা সংঘর্ষের মধ্য থেকে আমরা যেটিই বেছে নিই না কেন তা উভয় দেশ, দেশের জনসাধারণ এবং মানবতার ভবিষ্যতকে প্রভাবিত করে।’