পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে দেহ ৮০ টুকরো, গ্রেফতার জিহাদের স্বীকারোক্তি

বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম হত্যাকাণ্ডে প্রকাশ্যে আসছে ভয়ংকর তথ্য। খুনের ঘটনায় গ্রেফতার কসাই জিহাদকে লাগাতার জেরা করে যেসব বিস্ফোরক তথ্য জানতে পারছেন তদন্তকারীরা, তাতে দুঁদে অফিসারদেরও মাথা ঘুরে যাওয়ার জোগাড়। পুলিশের দাবি, জেরায় জিহাদ জানিয়েছে, আনোয়ারুল আজীমের দেহ ৮০ টুকরো করে নিউটাউন ও ভাঙড় এলাকার নানা জায়গার জলাশয়ে ফেলা হয়েছে। আর তার বিনিময়ে পাঁচ হাজার টাকা পেয়েছে সে। 

জিহাদের এই স্বীকারোক্তির পর তদন্তকারীদের একাংশের মত, সেসব খণ্ডাংশ উদ্ধার করা আরও কঠিন হয়ে গেল। ইতোমধ্যেই তা কোনও না কোনও জলচর প্রাণীর পেটে চলে গিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন তারা।

গত ১২ মে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে আসেন ঝিনাইদহের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম। ১৩ তারিখ রাতে তিনি নিউটাউনের ফ্ল্যাটে খুন হন। দিন দুই নিখোঁজ থাকার পর তাঁর হত্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হয় পুলিশ। এই ঘটনার তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। আজীম হত্যায় জড়িত সন্দেহে বাংলাদেশ থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। 

অন্যদিকে, বনগাঁ থেকে গ্রেফতার হয় জিহাদ ও সিয়াম নামে দুই ব্যক্তি। এদের মধ্যে জিহাদ কসাই। বাংলাদেশের বাসিন্দা হলেও মুম্বাইতে কাজ করত সে। জেরায় জানা যায়, আজীমকে খুনের জন্য তাদের সুপারি দেওয়া হয়েছিল।

তদন্তে আরও জানা যাচ্ছে, ২০০ কোটি টাকার বখরা নিয়ে সংসদ সদস্য  আনোয়ারুল আজীমের সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড শাহিনের মূল ঝামেলা। আগেও একাধিকবার তাকে খুনের হুমকি দিয়েছে শাহিন। 

প্রথমে ঢাকার গুলশানে এবং পরে কলকাতার নিউমার্কেটে বসে হত্যার ব্লুপ্রিন্ট তৈরি হয়। এক্ষেত্রে শাহিনের তুরুপের তাস ছিল বান্ধবী শিলাস্তি। শেষমেশ কলকাতায় আসা আনোয়ারুল আজীমকে শিলাস্তির 'হানিট্র্যাপে' ফেলে নিউটাউনের ফ্ল্যাটে এনে খুন করা হয়। ঘটনাপ্রবাহ দেখে এমনই অনুমান করছেন তদন্তকারীরা।