৪৬ শিশু সেনাকে মুক্তি দিলো মিয়ানমার

৪৬ শিশু সেনাকে বাহিনী থেকে মুক্তি দিয়ে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেছে মিয়ানমার। রবিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বিবিসিnoname
জাতিসংঘের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুসারে, দেশটির সেনাবাহিনীতে শিশুদের নিয়োগ বন্ধ ও কাজে না লাগানোর শর্ত রয়েছে। ২০১২ সালে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে এখন পর্যন্ত খুব বেশি অগ্রগতি গড়ে ওঠেনি।
শনিবার ইয়াঙ্গুনে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৪৬ শিশু সেনাকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর হয়। চুক্তি স্বাক্ষরের এ পর্যন্ত ১২ ধাপে ৭৪৪ জন শিশুকে বাহিনী থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেজর জেনারেল তাউক তুন। তিনি জানান, বাহিনীতে শিশুদের নেওয়া বন্ধে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তবে অনেকেই মনে করেন, সেনাবাহিনীতে শিশু সেনা নিয়োগ পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। এখনও হাজার হাজার শিশু সেনা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীতে কাজ করছেন। কতজন শিশু সেনা রয়েছে তার কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। এসব শিশুদের নানা ধরনের নির্যাতনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। জোর পূর্বক নিয়োগ থেকে শুরু করে গৃহকর্ম করানো হয়। এমনকি মাইন চিহ্নিত করতেও এসব শিশুদের কাজে লাগানো হয় বলেও মানবাধিকার ও শিশু অধিকার রক্ষার পক্ষে কাজ করা সংগঠনগুলোর দাবি।
জাতিসংঘের মতে, সেনাবাহিনী ছাড়াও দেশটির অন্তত সাতটি বিদ্রোহী সংগঠনও শিশুদের বাহিনীতে নেয়।

দীর্ঘদিনের সামরিক শাসন শেষে মিয়ানমার গণতন্ত্রের পদার্পন করছে। গত বছর নভেম্বরে অং সান সু কির দল নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। তবে এখনও দেশটি পরিচালনায় সেনাবাহিনীর প্রভাব ব্যাপক। দেশটির সংসদে সেনাবাহিনীর জন্য এক চতুর্থাংশ আসন সংরক্ষিত আছে। সূত্র: বিবিসি।

/এএ/