দিল্লির লালকেল্লার মালিকানা দাবিতে আদালতে মুঘল বংশধর সুলতানা

ভারতে নতুন ওয়াকফ আইন নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এবার নিজেকে মুঘলদের বংশধর বলে দাবি করে সুলতানা বেগম নামের এক নারী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তার দাবি, তিনি শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের প্রপৌত্রের বিধবা স্ত্রী। লালকেল্লা তাদের। তাই তাকে সম্পত্তির মালিকানা দেওয়া হোক। যদিও তার মামলা খারিজ করে দিয়েছে ভারতের শীর্ষ আদালত।

সুলতানা বেগম পিটিশনে দাবি করেন, ১৮৫৭ সালে প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে ব্রিটিশরা তার পরিবারকে তাদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছিল এবং সম্রাটকে দেশ থেকে নির্বাসিত করা হয়েছিল। এছাড়া লালকেল্লার দখল জোর করে মুঘলদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।

এতে আরও দাবি করা হয়েছে যে, সুলতানা বেগম লালকেল্লার মালিক। কারণ তিনি এটি তার পূর্বপুরুষ বাহাদুর শাহ জাফরের থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন। বাহাদুর শাহ জাফর (দ্বিতীয়) ১৮৬২ সালের ১১ নভেম্বর ৮২ বছর বয়সে মারা যান। 

পিটিশনে আরও বলা হয়েছে, আবেদনকারীকে লালকেল্লার মালিকানা হস্তান্তর করতে হবে বা পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ১৮৫৭ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত সরকার যে লালকেল্লা দখল করেছে, তার জন্য ক্ষতিপূরণও দাবি করা হয় আবেদনে।

সুলতানা বেগমের আবেদনকে একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতি জানান, প্রাথমিকভাবে দাখিল করা রিট পিটিশনটি ভিত্তিহীন। এটি গ্রহণযোগ্য নয়।

এরপরেই সুলতানার আইনজীবী বলেন, আবেদনকারী দেশের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবারের সদস্য। পাল্টা জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, শুধু লালকেল্লাই কেন চাই? ফতেপুর সিক্রি কেন নয়, সেটাই বা বাদ দেওয়া হলো কেন?

এ কথা জানিয়ে মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সেটি খারিজ করে দিয়েছে আদালত।