ভারতে চালু হতে চলেছে মোবাইল ভোটিং 

ভারতের নির্বাচন কমিশন বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে ইতিহাস তৈরি করতে চলেছে। কমিশন বিহারের পৌর নির্বাচনে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ভোটদানের পরিকল্পনা করেছে। এর জন্য কমিশন দশ দিন ধরে একটি সচেতনতা প্রচারও চালিয়েছে। বিহার দেশের মধ্যে প্রথম রাজ্য হতে চলেছে যেখানে ফোনের মাধ্যমে ভোটদান বা ই-ভোটিং করা যাবে।

বিহার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার দীপক প্রসাদ সংবাদমাধ্যমকে সম্প্রতি এই তথ্য জানিয়েছেন। পটনা, রোহতাস এবং পূর্ব চম্পারণের ছয়টি পৌরসভার ভোটগ্রহণের আগে তিনি এই তথ্য জানালেন। তবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনেই ফোনের মাধ্যমে ভোটদান করা হবে কি না সেই বিষয়ে এই মুহূর্তে রাজ্য নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি।

কারা দিতে পারবেন এই ই-ভোট? যারা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন না তাদের জন্য এই সুবিধাটি উপলব্ধ থাকবে। তিনি বলেন, অনলাইনে ভোটদানের জন্য ভোটারদের ফোনে একটি অ্যাপ ইনস্টল করতে হবে। প্রবীণ নাগরিক, প্রতিবন্ধী, অন্তঃসত্ত্বা এবং অন্য রাজ্যে বসবাসকারী ভোটাররা এই সুযোগটির সুবিধা নিতে পারবেন। রাজ্য নির্বাচন কমিশন ১০ জুন থেকে ২২ জুন পর্যন্ত এই বিষয়ে একটি সচেতনতামূলক প্রচারও চালিয়েছে।

এই সুযোগের সুবিধা নিতে ভোটারদের 'e-SECBHR' অ্যাপটি ইনস্টল করতে হবে। এর পরে, এটি ভোটার তালিকার নম্বরের সঙ্গে লিঙ্ক করাতে হবে। এই অ্যাপটি বর্তমানে শুধু অ্যান্ড্রয়েড ফোনে কাজ করবে। এই অ্যাপটি সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অব অ্যাডভান্সড কম্পিউটিং দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। অন্য দিকে, আরেকটি অ্যাপ রয়েছে যা বিহার নির্বাচন কমিশন দ্বারা তৈরি করা হয়েছে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কী বলছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন? ই-ভোটিং সম্পর্কে সবচেয়ে বড় ভয় হলো কারচুপির শঙ্কা। এই প্রশ্নের উত্তরে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে যে, ভোটদান প্রক্রিয়াটি মসৃণ, সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ রাখার জন্য বিভিন্ন প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে। যেমন, শুধু দুজন রেজিস্টার্ড ভোটারকে একটি মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে লগ ইন করতে দেওয়া হবে।

এছাড়া, প্রত্যেক ভোটারের পরিচয় যাচাই করা হবে এবং ভোটার আইডি কার্ডও যাচাই করা হবে। এছাড়া, যাদের মোবাইল ফোন নেই বা ব্যবহার করেন না তারা বিহার নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটেও ই-ভোট দিতে পারবেন।