চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ওই বলেন, “যে কোনও ‘সুস্থ মস্তিষ্কের রাজনীতিক’ এ সম্পর্কে অবগত যে, এমন সংঘর্ষে উভয় পক্ষই ক্ষতির সম্মুখীন হবে।”
মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপের সঙ্গে ক্যানবেরায় এক বৈঠকে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে চীন-মার্কিন যুদ্ধ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাননের বক্তব্যকে ওয়াং ‘অযৌক্তিক বক্তব্য’ বলে অভিহিত করেন।
ওয়াং বলেন, ‘যে কোনও সুস্থ মস্তিষ্কের রাজনীতিক বুঝতে পারবে, চীন-মার্কিন সংঘর্ষে উভয় পক্ষই হারবে।’
ওয়াং মনে করেন, ‘চীন-মার্কিন সম্পর্ক অনেক বাধা-বিঘ্নের মধ্য দিয়ে গেছে, আর তা আরও সামনে এগিয়ে যাবে।’
উগ্র-ডানপন্থী অনলাইন সংবাদমাধ্যম ব্রেইটবার্ট-এর সাবেক প্রধান ব্যানন নয় মাস আগে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, ‘দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত দ্বীপগুলো নিয়ে ব্যাপক সামরিক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্র’। এখন তিনিই মার্কিন প্রেসিডেন্ট দফতর হোয়াইট হাউসের প্রধান উপদেষ্টা।
২০১৬ সালের মার্চে ব্যানন বলেছিলেন, ‘দক্ষিণ চীন সাগরে আমরা আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ব। এ ক্ষেত্রে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই। তারা বালির বস্তা মজুদ করছে এবং ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ সতর্ক অবস্থায় রাখছে। এগুলো আমাদের দিকে ছুটে আসতে পারে।’
দক্ষিণ চীন সাগরের পুরো এলাকা নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে আসছে চীনা কর্তৃপক্ষ। একইভাবে ওই অঞ্চলকে অংশিকভাবে দাবি করে আসছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইনসহ অন্তত ছয়টি পার্শ্ববর্তী দেশ।
সম্প্রতি আধিপত্য কায়েম করতে চীন ওই সাতটি কৃত্রিম দ্বীপে বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ওই এয়ারস্ট্রিপ নির্মাণ করেছে।
বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, ব্যাননের প্রভাবে চীনের সঙ্গে যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন। উল্লেখ্য, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন জানিয়েছেন, ওই কৃত্রিম দ্বীপে চীনা কর্তৃত্ব কোনওভাবেই মেনে নেবে না ট্রাম্প প্রশাসন। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
/এসএ/এএ/