বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে চীনের সহায়তা চায় বাংলাদেশ

পায়রাবন্দরে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলারের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে চীনের সহায়তা চায় বাংলাদেশ। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদকে উদ্ধৃত করে এই সংবাদ প্রকাশ করেছে চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়া।

নসরুল হামিদ

সাক্ষাৎকারভিত্তিক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ৯ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে নসরুল হামিদ বলেন, এই বিশাল প্রকল্পে চীন অন্যতম বিনিয়োগকারী হতে পারে। এতে অবকাঠামোগত সুবিধাও পাবে চীন।

২০১৬ সালের মার্চে দুটি চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে চুক্তি করে বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যে এই পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে কাজ শুরু করেছে।

চায়না এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ নর্থইস্ট ইলেক্ট্রিক পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিডেট (এনপিইসি) ও চায়না ন্যাশনাল এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিইসিসি) ও বাংলাদেশ-চীন পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল), চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন (সিএমসি) ও বাংলাদেশ নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনপিজিসিএল) বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তি অনুসারে, ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিটের নির্মাণ কাজ ২০১৯ সালের এপ্রিল ও অক্টোবরে সম্পন্ন হবে।

বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনের সময় জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী সিনহুয়াকে বলেন, ‘এই প্রথম আমি পায়রাকেন্দ্র পরিদর্শনে এসেছি। আমি দেখতে চেয়েছি আমাদের চীনা বন্ধুরা কেমন কাজ করছেন।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। নর্থওয়েস্ট পাওয়ার প্ল্যান্টকে সরকারি মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। চীনা প্রতিষ্ঠান সিএমসির সঙ্গে তারা এই প্রকল্পের ৫০ শতাংশের অংশীদার।

চীনকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, চীনা প্রতিষ্ঠান আমাদের সহায়তা করছে। তাদের সঙ্গে আমরা আরও বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে তুলবো।

নসরুল হামিদ আরও বলেন, চীনা সরকারের সঙ্গে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে। এটা সত্যিই দারুণ যে চীনা কর্মীরাও এখানে কাজ করছেন। মূল প্রকৌশলীরা আগে থেকেই কাজ করছেন এবং তারা বিশ্বমানের। তিনি বলেন,  ‘আমি সব চীনা প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে বিনেয়োগের আহ্বান জানাই।

বাংলাদশে সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র।

কর্মকর্তারা জানান, চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো আরও একটি মেগা প্রকল্পের পরিকল্পনা করছে। ১০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ ও ৫০ মেগাওয়াটের উইন্ড পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরি করবে তারা।