চীনে কর্মক্ষম মানুষ কমতে শুরু করেছে

চীনের কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা ক্রমেই কমে আসছে। ২০০৯ সালের পর থেকে গত বছর প্রথম সেখানে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে নিচে নেমেছে। আর ২০১০ সালের পর গত বছরই প্রথম তা  ১০০ কোটির নিচে নেমে গেছে। জন্মহারের শ্লথগতি ও কর্মক্ষম মানুষের ঘাটতি চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিরুদ্ধে অনেক বড় বাধা। একই সঙ্গে চীনের অবসরভাতা খাতে চাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে সদ্য অবসর নেওয়া কর্মীরা।  বুধবার প্রকাশিত তথ্য অবলম্বনে রয়টার্স জানিয়েছে এ খবর।

চীনে কর্মক্ষম মানুষ কমতে শুরু করেছে

 

গত বছর চীনে ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী মোট কর্মক্ষম জনসংখ্যা ছিল ৯৯ কোটি ৮৩ লাখ, যা ২০১৬ সালের ১০০ কোটি ২৬ লাখের কম। কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা কমে যাওয়ার এই ধারা শুরু হয়েছে ২০১৪ সাল থেকে। চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকাশিত তথ্য থেকে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।

বুধবার পাওয়া পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চীনে গত বছর গ্রাম ও শহর মিলিয়ে  মাত্র ৩ লাখ ৭০ হাজার নতুন মানুষ শ্রমশক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যেটি আগের বছরগুলোর তুলনায় অনেক কম। আবার ৬৫ বা তদুর্ধ বয়সীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে মোট জনসংখ্যার ১১.৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০১৬ সালে প্রবীণদের বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল মোট জনসংখ্যার ১০.৮ শতাংশ।

প্রবীণদের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় চাপ বাড়ছে অবসরভাতা ব্যবস্থায়। চীনের অনেক প্রদেশে বছরখানেক অবসরভাতা দেওয়ার মতো অর্থ আছে। অবসরভাতা তহবিলের ঘাটতি মেটাতে কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ যোগান দেয়। চীন গত নভেম্বরে জানিয়েছে, তারা রাষ্ট্রায়ত্ব শিল্পগুলোর কিছু শেয়ার সামাজিক নিরাপত্তা খাতের জন্য বরাদ্দ দিয়ে দেবে।

প্রবীণদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার এই সমস্যা দেখা দিয়েছে জন্মহার কমে যাওয়ায়। ২০১৬ সালে চীনে জন্মাহার ৩.৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। উল্লেখ্য, প্রবীণদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার এই শঙ্কা থেকেই ২০১৬ সালে চীন তার এক সন্তান নীতি শিথিল করে দিয়েছিল।