মার্কিন চাপ থাকলেও ইরানকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে চীন

পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ ও নিষেধাজ্ঞার মুখে থাকা ইরানকে দেওয়া সহায়তা ও তাদের সঙ্গে সম্পর্ক অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে চীন। শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-কে উদ্ধৃত করে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বার্তা সংস্থা সিনহুয়া এই খবর জানিয়েছে।

chinese-fm-reuters

সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, “ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জাফরির সঙ্গে এক টেলিফোন আলাপে ওয়াং ই বলেছেন,  ২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে দ্য জয়েন্ট কমপ্রিহেন্সিভ প্লান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক  চুক্তির আওতায় নিজেদের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত রাখার প্রতিশ্রুতি দেয় তেহরান। বিনিময়ে পশ্চিমা দেশগুলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ‘যৌথ স্বার্থে’ ইরানের ওপর আরোপিত বেশিরভাগ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়।”

এবছর ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ঘোষণা দেন, ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের। এরইমধ্যে সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।

ওয়াং ই-কে উদ্ধৃত করে সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, ‘খোলামেলাভাবেই ইঙ্গিত করছি আমরা একক নিষেধাজ্ঞা জারি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কে ‘নিজস্ব বিচারিক ক্ষমতা’ প্রয়োগের ভুল চর্চার বিরোধিতা করছি।’

বেইজিংয়ের সঙ্গে তেহরানের ঘনিষ্ঠ বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে। জ্বালানি খাতে এই সম্পর্ক বিশেষভাবে গভীর। পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা দেন ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়া কোম্পানিগুলোও যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হবে। ওই ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় চলতি মাসের শুরুতে জেসিপিওএ-তে স্বাক্ষরকারী অন্যতম স্বাক্ষরকারী দেশ চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়ে দেয়, তেহরানের সঙ্গে বেইজিংয়ের সম্পর্ক প্রকাশ্য, স্বচ্ছ ও বৈধ। ওই সময়ে

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের শুরুতে ট্রাম্প জেসিপিওএ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নেওয়ার ঘোষণা দেন। চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী অন্য বিশ্বশক্তিগুলো এই ঘোষণা থেকে সরে আসার আহ্বান জানালেও তাতে সায় দেননি ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন ছাড়াও ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তির অন্য স্বাক্ষরকারী দেশের মধ্যে রয়েছে ইউরোপে ওয়াশিংটনের প্রধান মিত্র যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি এবং রাশিয়া।