সৌন্দর্যের নামে চীনা মেয়েরা এ কী করছে!

রূপচর্চায় নতুনত্ব আসবেই। কিন্তু সম্প্রতি একটি চীনা গণমাধ্যমে যা বলা হয়েছে তা শুনলে পিলে চমকে যাবে যে কারও। দ্য পেপার ডট সিএন নামের ওই চীনা অনলাইন পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিয়েছেন চীনের বিখ্যাত ডাক্তার ঝেং চু। তিনি চীনের সাউদার্ন মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির জয়েন্ট সার্জারি অ্যান্ড স্পোর্ট সার্জারি মেডিসিন বিভাগের উপ-পরিচালক। তার বিভাগেই ঘটে যাওয়া এক ভয়াবহ ‘বিউটি-ট্রেন্ড’ সম্পর্কে জানতে পেরে তড়িঘড়ি কথা বলেন মিডিয়ার সঙ্গে। জানালেন, চীনের অনেক তরুণীই তাদের হাঁটুর নিচে পেছনের মাংসপেশীটাকে ‘আকর্ষণীয়’ করতে হাসপাতালে এসে ইচ্ছে করেই কাটিয়ে নিচ্ছেন কয়েকটি মাসল নার্ভ তথা মাংসপেশীর স্নায়ু!

‘নার্ভ ইনজুরি ও পেশীর নার্ভের সমস্যা নিয়ে যেসব রোগী আসেন তাদেরকে আমরা মারাত্মক যন্ত্রণা সহ্য করতে দেখি। ব্যথার চোটে তারা সুস্থ হতে মরিয়া থাকেন। কিন্তু স্বাস্থ্যবান মেয়েরা এসে স্বেচ্ছায় তাদের মাসল নার্ভ ধ্বংস করবে এটা আমি কল্পনাও করতে পারি না।’ বললেন ডা. ঝেং।

তিনি আরও জানালেন, ‘ওদের সবার জানা উচিৎ যে, কম গুরুত্বপূর্ণ নার্ভ বলে কিছু নেই। একবার একটি স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটা কখনই পুরোপুরি সেরে ওঠে না।’

চীনা পত্রিকাটি আরও জানায়, নতুন এ তথাকথিত রূপচর্চার নাম ‘কাফ ব্লক’। ইন্টারনেটের কিছু ফোরাম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে বেশ হুজুগও উঠেছে। সেখানে অনেকে আবার ছবি শেয়ার করে নতুন এ পদ্ধতির গুণকীর্তনও করছে কেউ কেউ। তবে এমনই একটি ফোরামে চীনের এক তরুণী লিখেছেন, তিনি আরেকজনের কাছ থেকে শুনে ‘কাফ ব্লক’ করিয়েছিলেন মাস দুয়েক আগে। এখন ঠিকমতো হাঁটতেও পারছে না তিনি। ডাক্তারও জানিয়েছেন, তাকে সারিয়ে তুলতে এখন আর তাদের কিছু করার নেই।

মারাত্মক এ ‘বিউটি ট্রেন্ড’ ভাইরাল হওয়ার নেপথ্যে চীনের কিছু বিউটি ব্লগারকেই দুষছে দেশটির মূলধারার গণমাধ্যমগুলো। অবৈজ্ঞানিক ও ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচারের আগে তরুণীদের অন্তত একবার হলেও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছে তারা।