যুক্তরাষ্ট্রে করোনার উৎস অনুসন্ধানের আহ্বান চীনের

চীনের এক সিনিয়র এপিডেমিওলজিস্ট বলেছেন, করোনাভাইরাসের উৎস অনুসন্ধানের পরের ধাপে যুক্তরাষ্ট্রকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। বৃহস্পতিবার চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে তিনি একথা বলেছেন। ২০১৯ সালে ডিসেম্বরেই যুক্তরাষ্ট্রে করোনা রোগ ছড়িয়েছিল এমন গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের পর চীনা বিজ্ঞানী এই আহ্বান জানিয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর হেলথ সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারিভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ঘোষণা দেওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগেই পাঁচটি অঙ্গরাজ্যে অন্তত সাতজন কোভিড-১৯ আক্রান্ত ছিলেন।

মার্চে প্রকাশিত চীন-বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক যৌথ গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের উৎস সম্ভবত চীনা একটি বণ্য পশুর বাজার থেকে। যা বাঁদুড় থেকে মানব দেহে সংক্রমিত হয়েছে।

কিন্তু বেইজিংয়ের দাবি, চীনে করোনাভাইরাস প্রবেশ করেছে বিদেশি হিমায়িত খাবারের মাধ্যমে। পশ্চিমা রাজনীতিকদের অনেকেই আহ্বান জানিয়েছেন, চীনের গবেষণাগার থেকে ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য আরও তদন্তের।

চীনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের প্রধান এপিডেমিওলজিস্ট ঝেং গুয়াং বলেন, করোনার উৎস অনুসন্ধানের মনোযোগ যুক্তরাষ্ট্রে ফেরানো উচিত। মহামারিতে শুরুতে মানুষকে পরীক্ষায় পিছিয়ে ছিল দেশটি। এছাড়া দেশটিতে অনেক বায়োলজিক্যাল ল্যাব রয়েছে।

তিনি বলেন, বিষয়টি সঙ্গে সম্পর্কিত দেশটির সব জৈব-অস্ত্র তদন্তের আওতায় আসা উচিত।

যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণাটির বিষয়ে বুধবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজান বলেছেন, এটা এখন নিশ্চিত যে করোনা সংক্রমণের একাধিক উৎস রয়েছে। এক্ষেত্রে অন্যান্য দেশগুলোর উচিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সহযোগিতা করা।