সাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে নিজেই বানালেন সেল্ফ ব্যালেন্সিং বাইক

সাইকেল চালাতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন চীনা প্রকৌশলী ঝি হুই জুন। এতে তিনি মুখে সামান্য আঘাত পান। তবে পড়ে গিয়ে দমে যাননি। হাল ছেড়ে না দিয়ে কাজে নেমে পড়েন সেল্ফ ব্যালেন্সিং বাইক তৈরির লক্ষ্য নিয়ে। এমনভাবে তিনি এর ডিজাইন করেন যাতে এটি কেবল ভারসাম্যই রক্ষা করবে না; বরং অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতেও সাহায্য করবে।

২০১৯ সালে বেইজিং সিংহুয়া ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের নির্মিত সেল্ফ ড্রাইভিং সাইকেল মুগ্ধ করেছিল তাকে। সাইকেল থেকে পড়ে যাওয়ার পর তাই নিজের জন্য সেল্ফ ব্যালেন্সিং সাইকেল তৈরিতে মনোযোগ দেন তিনি।

যেই ভাবা সেই কাজ। নিজের অবসর সময়ে, বেশিরভাগ সময় সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এ কাজে সময় দিতে থাকেন তিনি। মাত্র চার মাসের ব্যবধানে তার এ চেষ্টায় সাফল্য আসে। ঝি হুই জুন একটি আকর্ষণীয় সেল্ফ ব্যালেন্সিং সাইকেল ডিজাইন ও তৈরি করতে সক্ষম হন।

সাইকেলের সূক্ষ্ম গতিবিধি পর্যালোচনা করে সেগুলো সংশোধনে সক্ষম অ্যাক্সিলোমিটার এবং জাইরোস্কোপের একটি উন্নত সিস্টেম ব্যবহার করেছেন তিনি যাতে এটি কখনও কোনও একদিকে ঝুঁকতে না পারে।16

লিথিয়াম ব্যাটারি দ্বারা চালিত সাইকেলটি স্থির ও চলমান উভয় অবস্থাতেই তার ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে। এমনকি হ্যান্ডেলবারগুলোর একটিতে একটি ইটের মতো ভারী বোঝাও এটির ভারসাম্য নষ্ট করতে পারবে না। কেননা, এটি দ্রুত ওজনের এ ধরনের পার্থক্য ব্যালেন্স করতে সক্ষম।

যে কোনও একক ব্যক্তি দ্বারা নির্মিত একটি সেল্ফ ব্যালেন্সিং বাইক দেখতে খুব আহামরি রকমের আকর্ষণীয় না হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে ঝি হুই জুনের সাইকেলটিতে একটি আরজিবি ডেপথ সেন্সিং ক্যামেরা এবং একটি লিডার সেন্সর রয়েছে যা এটিকে তার ট্রাজেক্টোরিতে শনাক্ত হওয়া বাধাগুলো এড়ানোর নির্দেশনা দেয়।

ঝি হুই জুন চায়না ইউনিভার্সিটি অব ইলেকট্রনিক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে ২০১৮ সালে স্নাতক সম্পন্ন করেন। পরে তিনি হুয়াওয়ের ইয়াং জিনিয়াস প্রোগ্রামের সঙ্গে যুক্ত হন। স্মার্টফোন উৎপাদক প্রতিষ্ঠান অপো-তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়েও কাজ করেছেন তিনি।

ভিডিও: