ড্রোন পরিচালনা শেখাতে চীনে নতুন উদ্যোগ

ড্রোন পাইলট স্কুলআঙুলে ধরা জয়স্টিকস। বেশির ভাগই ছেলে শিক্ষার্থী। ক্লাসরুমে তারা চেষ্টা করছেন ভার্চুয়াল হেলিকপ্টার আকাশে ওড়ানোর। কোনও সাধারণ স্কুলের দৃশ্য নয় এটি। চীনে ড্রোনের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়লেও সে অনুসারে বাড়ছে না ড্রোন পাইলটের সংখ্যা। ফলে নেওয়া হয়েছে নতুন উদ্যোগ। শুরু হয়েছে ড্রোন পাইলট স্কুল। যেখানে ড্রোন পরিচালনার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই দৃশ্যটি সে ধরনের একটি ড্রোন স্কুলের।
বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম ড্রোন উৎপাদনকারী দেশ চীন। রিমোট কন্ট্রোলড এসব ছোট্ট যানের মধ্যে রয়েছে পুলিশের জন্য থ্রি-ডি আরবান ম্যাপার থেকে শুরু টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপকারী ড্রোন। তবে এসব ড্রোন চালানোর জন্য দক্ষ পাইলটের ঘাটতি রয়েছে চীনে। আর এ ঘাটতি মেটাতেই, ড্রোন পরিচালনায় প্রশিক্ষিত করতে চীনে গড়ে উঠেছে ৪০টি ড্রোন পাইলট স্কুল। এরকমই একটি স্কুল হচ্ছে টিটি অ্যাভিয়েশন টেকনোলজি কোম্পানি।  নতুন এ ক্ষেত্রে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়তে ভর্তি হচ্ছে অনেকেই।
টিটি অ্যাভিয়েশন স্কুলে দুই সপ্তাহের কোর্স করানো হয়। এতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি নেওয়া হয় ১ হাজার ২০০ ডলার (৮ হাজার ইউয়ান)। কোর্সের আওতায় শিক্ষার্থীদের ড্রোন পরিচালনার বিভিন্ন কলা-কৌশল শেখানো হয়। কোর্স শেষ হলে চীনের সিলিভ অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। এ লাইসেন্স দিয়ে সাত কেজি ওজনের ড্রোন সর্বোচ্চ ১২০ মিটার (৪০০ ফুট) উচ্চতায় চালানো যায়।

২৪ বছরের জু হঙ্গগঙ্গ মনে করেন, এ লাইসেন্সের ফলে ড্রোনের পাইলট হিসেবে কাজ করে মাসিক ন্যুনতম ৭৮০ ডলার আয় করার দ্বার খুলে যাবে। তিনি বলেন, ‘ড্রোন সেবার জন্য আমি নিজের কোম্পানি খুলতে চাই। নিজের জন্য কাজ করতে আমি পছন্দ করি। এটি নতুন ও জনপ্রিয় কাজের ক্ষেত্র।’

টিটি অ্যাভিয়েশনের মহাব্যবস্থাপক ইয়াং ই জানান, চীনের বিভিন্ন শিল্প-প্রতিষ্ঠানে প্রায় দশ হাজার ড্রোন পাইলট দরকার। কিন্তু লাইসেন্স পাওয়া মাত্র এক হাজার পাইলট রয়েছেন। ফলে এখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে লাইসেন্স পাওয়ার পর কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তিনি বলেন, ‘ড্রোন পাইলট আর কার চালক প্রায় সমান। উভয়েরই পদ্ধতিগত প্রশিক্ষণ প্রয়োজন হয়। বাস্তব কাজে নামার আগে তাদের অনেক বিষয় জানতে হয়।’ সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

/এএ/বিএ/