তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টকে ‘এক চীন’ স্বীকার করতে হবে

তাইওয়ানকে আবারও চীনের অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্র সফররত চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ঝি বলেছেন, চীনের তাইওয়ান অঞ্চলে কে ক্ষমতায় আছে সেটা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে অবশ্যই দ্বীপটির নিজস্ব সংবিধানের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে।

বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক এন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ওই সেন্টারের ওয়েবসাইটেও তার এ বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। গত জানুয়ারিতে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এ মুহূর্তে দায়িত্ব গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ৫৯ বছরের সাই ইং ওয়েন। এমন পরিস্থিতিতেই এই মন্তব্য করলেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ঝি

সাই ইং ওয়েন দ্য ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) টিকিটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পূর্ববর্তী ক্ষমতাসীন দল কুওমিনটাং (কেএমটি)-এর প্রার্থী এরিক চুকে পরাজিত করেন। গত ৭০ বছরের অধিকাংশ সময়ই দেশটির ক্ষমতায় ছিল কুওমিনটাং। এ দলটি এক চীন নীতির সমর্থক। তাদের সময়ে চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। কিন্তু এবার দ্য ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি ক্ষমতায় আসায় আগামীতে দুই দেশের সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

নির্বাচনে জয়ের পর অবশ্য এক বক্তৃতায় ওয়েন বলেছেন, চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিনি বর্তমান অবস্থান সমুন্নত রাখবেন। তবে এক্ষেত্রে তাইওয়ানের নাগরিকেরাই হচ্ছেন মূল ভিত্তি।

সাই ইং ওয়েন বলেন, চীনের উচিত তাইওয়ানের গণতন্ত্রের প্রতি সম্মান দেখানো। এছাড়া দুই দেশেরই উচিত কোনো ধরনের উত্তেজনা যাতে সৃষ্টি না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করা।

চীন মনে করে, তাইওয়ান তার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া একটি প্রদেশ মাত্র। বেইজিং-এর মতে, প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া যেতে পারে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

/এমপি/