পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে ব্রিকসের বৃহত্তর ভূমিকা চায় চীন

চীনের ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার বাড়তে থাকার কারণে ব্রিকস ব্লকের দেশগুলোকে আরও বেশি দায়িত্ব ও জোটটিকে বিশ্বের কাছে অন্তর্ভুক্তিমূলক হিসেবে হাজির করার আহ্বান জানিয়েছে বেইজিং। মঙ্গলবার (১১ জুন) চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এই আহ্বান জানান। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

চীনের অনেকগুলো কোম্পানি পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে। ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে রাশিয়াকে সমর্থনের কারণে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতাদের ওপর নতুন শুল্কারোপ করতে যাচ্ছে ইউরোপীয় কমিশন। ইউরোপের গাড়ি নির্মাতাদের সুরক্ষায় এই পদক্ষেপ নিচ্ছে ব্লকটি।

সূত্রের বরাতে রয়টার্স এর আগে এক প্রতিবেদনে বলেছিল, চলতি সপ্তাহে বিশ্বের ধনী দেশগুলোর সংগঠন জি-৭ চীনের ক্ষুদ্র ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কতা জারি করতে পারে। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়াতে এসব ব্যাংক রাশিয়াকে সহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

রাশিয়ার নিজনি নভগরোদ শহরে ব্রিকস-এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে কোনও দেশের নাম উল্লেখ না করে ওয়াং ই বলেছেন, একতরফা নিষেধাজ্ঞা ও প্রযুক্তিগত বাধার কারণে অর্থনৈতিক ইস্যুর রাজনীতিকরণ বেড়েছে।  

ব্রিকস-এর শুরুতে সদস্য ছিল ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ব্লকের লক্ষ্য বৈশ্বিক ব্যবস্থায় পশ্চিমা প্রভাব মোকাবিলা করা। চলতি বছরের শুরুতে ব্রিকসে যোগ দিয়েছে মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান ও ইথিওপিয়া।

ওয়াং বলেছেন, সম্প্রসারিত ব্রিকসের উচিত একটি বহুমাত্রিক সহযোগিতা কাঠামো গড়ে তোলা। যেটির চালিকা শক্তি হবে উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল দেশ।

ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েইরার সঙ্গে এক পার্শ্ব বৈঠকে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বিশ্ব পরিচালনা ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষায় ব্রিকসের বৃহত্তর ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে ব্রাজিলের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী চীন।