ভেনেজুয়েলার নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেবে না ইইউ

xfll128-apভেনেজুয়েলার বিতর্কিত নির্বাচনে সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সোমবার ইইউ জানিয়েছে, নির্বাচনে রাষ্ট্র কর্তৃক সেনা সদস্যদের অতিরিক্ত বল প্রয়োগের কারণে তারা নির্বাচনকে স্বীকৃতি নাও দিতে পারে।

ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টের প্রধান অ্যান্থনিও তাজানি বলেন, আমরা এই নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেব না। এটা স্পষ্ট যে ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতা ধরে রাখতে চাচ্ছে। মানুষের চায় শাসকের পরিবর্তন। এখন সময় দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের।

ইউরোপীয়ান কমিশনের নির্বাহী পরিষদের পক্ষ থেকেও ভেনেজুয়েলার নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে সহিংসতায় নিন্দা জানিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছে ইইউ।

অবশ্য বিবৃতিতে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে কোনও বক্তব্য দেয়নি ইইউ। যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে।

সংবিধান সংশোধন ও কংগ্রেসের হস্তক্ষেপ বন্ধে নতুন আইনসভা গঠন করতে চাইছে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকার। এই আইনসভা গঠনের লক্ষ্যেই এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে মাদুরোর দল বিজয়ী বলে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু বিরোধী দলের অভিযোগ এর মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চাইছেন মাদুরো। তারা সাধারণ নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করে আসছেন। মাদুরোর দাবি, কয়েকমাস ধরে চলা সহিংসতা বন্ধে আইনসভা গঠনই  একমাত্র পথ।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে বিরোধী দলের এক নেতাসহ অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া নিহতদের মধ্যে সরকার দলীয় এক প্রার্থী ও  সেনাসদস্য রয়েছেন।

গত কয়েক মাস ধরেই ভেনেজুয়েলায় প্রায় প্রতিদিনই বিক্ষোভ হচ্ছে। এ পর্যন্ত বিক্ষোভে  নিহত হয়েছেন শতাধিক ও আহত হয়েছেন প্রায় দেড় হাজার। এ নির্বাচন অবশ্য পুরোপুরিই প্রতীকী। বিরোধী দল বলছে, এটার মাধ্যমে তারা জনগণের মতামত নিচ্ছে যে সরকারকে আসলেই সংবিধান পরিবর্তনের উদ্যোগ নিতে দেওয়া যায় কিনা। সরকার একটি নতুন সংবিধান চাইছে। মাদুরোর মতে,  দেশকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট থেকে টেনে তোলার এটাই একমাত্র উপায়। কিন্তু এ পরিকল্পনার ফলে ভেনেজুয়েলার রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে। সূত্র: রয়টার্স।

/এএ/