২২ বছরের লিয়াম সিয়ার্ল বিবিসি রেডিওকে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, আমি খুব কাছে ছিলাম। মাত্র দশ ফুট দূরে ঘটনাটি ঘটে। এক পর্যায়ে আমার নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হয়। কারণ আমি রামব্লাস অ্যাভিনিউয়ে ছিলাম না। আমি ছিলাম রাস্তায়। ফলে দৌড়ে একটি অপেরা হাউসে প্রবেশ করি। অনেকেই সেখানে প্রবেশ করে।
লিয়াম আরও বলেন, বিভিন্ন কিছুর আড়ালে সবাই নিজেকে লুকিয়ে রাখছিল। কী ঘটছিল তা কেউ বুঝতে পারছিলাম না। আমরা শুধু একটি জোরালো শব্দ শুনতে চাই। এরপর সবাই ছুটতে থাকে।
২০ বছরের একজন শিক্ষার্থী মার্ক এসপার্সিয়া। তিনি জানান, বেশ জোরে একটি শব্দ শোনা যায়। এরপর মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ছুটতে শুরু করেন। অনেক মানুষ, অনেক পরিবার উপস্থিত ছিলেন। এটি বার্সেলোনার অন্যতম পর্যটন এলাকা। আমার কাছে মনে হচ্ছে, অনেকেই আহত হয়েছেন।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী রিচার্ডস ছুটি কাটাচ্ছিলেন। তিনি জানান, মানুষের আতঙ্কিত ছোটাছুটি দেখে কিছু একটা ঘটছে বলে বুঝতে পারেন। তিনি বলেন, আমি এক ব্যক্তিকে শুয়ে থাকতে দেখি। আরেক ব্যক্তিকে নড়াচড়াহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। ঘটনাটি ছিল ভয়াবহ ও আতঙ্কের।
টম গুয়েলার নামক ব্যক্তি জানান, ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালাতে বাধ্য হন তিনি। চিৎকার ও বিকট শব্দে ভ্যানটিকে আঘাত করতে দেখি। ভ্যানটি এগিয়ে যাচ্ছিল আর মানুষ লুটিয়ে পড়ছিল। তখনি মনে হচ্ছিল এটি সন্ত্রাসী হামলা।
ভ্যানটির বিষয়ে টম বলেন, ভ্যানটির গতি কমছিল না। সোজা ভিড়ের মধ্য দিয়ে তা এগিয়ে যাচ্ছিল। সূত্র: বিবিসি।
/এএ/