জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তরে গোপন চুক্তি, রোমানিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান প্রেসিডেন্টের

 

রোমানিয়ার প্রেসিডেন্ট দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিওরিকা ডানসিলাকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। ইসরায়েলে দেশটির দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর নিয়ে এক গোপন চুক্তি করার কারণে প্রেসিডেন্ট এই আহ্বান জানিয়েছেন। এই গোপন চুক্তির মধ্য দিয়ে রোমানিয়ার পররাষ্ট্রনীতিতে হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠেছে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে।

5ae2edf83d070.image

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, রোমানিয়ার সংবিধান অনুসারে প্রেসিডেন্ট ক্লাউস আইয়োহানিস প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করতে পারেন না। কিন্তু এই আহ্বান জানানোর ফলে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আনা হতে পারে পার্লামেন্টে। যদিও ডানসিলার দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে তার বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা ভোট জয়ী না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

প্রেসিডেন্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোমানিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদের যথাযথ সম্মান রাখছেন না ডানসিলা। ফলে তার পরিচালিত সরকার রোমানিয়ার জন্য বোঝা হয়ে ওঠছে। তাই আমি প্রকাশ্যে তাকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

রোমানিয়ার দূতাবাস স্থানান্তর বিষয়ক যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার দেশটির প্রেসিডেন্টের। তিনি দাবি করেছেন, জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তর বা ডানসিলার ইসরায়েল সফর নিয়ে তার সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি।

ডানসিলা দাবি করেছেন, তিনি যে সমঝোতা করেছেন তা রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তার পর্যায়ে পড়ে এবং তা প্রকাশ করা যাবে না।

রোমানিয়ার প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তরের ফলে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হতে পারে। কারণ জেরুজালেমকে স্বাধীন ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে দাবি করে ফিলিস্তিনিরা। এছাড়া ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমকে খুব বেশি দেশ স্বীকৃতি দেয়নি।

প্রেসিডেন্ট বিবৃতিতে বলেন, একটি গোপন নথি, পররাষ্ট্র নীতির বিষয়ে একটি গোপন সমঝোতা হয়ে গত সপ্তাহে। এটা ছিল বড় একটি ভুল।

পদত্যাগের আহ্বানের বিষয়ে ডানসিল কোনও মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া জানাননি।

রোমানিয়া যদি জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তর করে তাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যদের মধ্যে প্রথম দেশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেবে। গত ডিসেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সেখানে দূতাবাস স্থানান্তরের ঘোষণা দেন।