ফ্রান্সে পুলিশের গুলিতে যুবক নিহতের ঘটনায় সহিংসতা

ফ্রান্সের পশ্চিমাঞ্চলের একটি শহরে পুলিশের গুলিতে এক যুবক নিহতের ঘটনা নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনার তৃতীয় দিন শুক্রবার রাতেও বেশ কয়েকটি প্রাইভেট কার ও ভবনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিবাসী জনসংখ্যা অধ্যুষিত দরিদ্র শহরটিতে পুলিশ ও স্থানীয়দের উত্তেজনা চরম অবস্থায় পৌঁছেছে।

fe2417831dfc9bc7f3fb7cf1a541ef124e5b7af0

ফরাসি সংবাদমাধ্যমে নিহত যুবককে আবু বকর এফ নামে তুলে ধরা হয়েছে। এই যুবককে হত্যার ঘটনায় এক পুলিশ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, নান্তেস শহরটির মেয়রের ব্যক্তিগত গাড়িসহ ৫২টি গাড়িতে শুক্রবার রাতে আগুন দেওয়া হয়েছে, আটটি ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। একটি পানশালা অগ্নিসংযোগে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, একটি হাই স্কুল ও পেট্রোল স্টেশনেও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে শুক্রবার রাতের সহিংসতায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। পুলিশ চারজনকে আটক করেছে। এদের মধ্যে ১৪ বছরের এক কিশোর রয়েছে। তাকে দিয়াশলাই ও পেট্রোলসহ আটক করা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতেও পুলিশের একটি গাড়িতে পেট্রোল বোমা ছুড়ে আগুন লাগানো হয়েছে। আবুর জন্য ন্যায়বিচারের দাবিতে ওই দিন সন্ধ্যায় প্রায় ১ হাজার মিছিল করেন। তারা ঘটনার বিস্তারিত প্রকাশ করারও দাবি জানান। সহিংসতার ঘটনায় এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ১২-১৫ জনকে।

ফরাসি প্রধানমন্ত্রী এদোয়ার্দ ফিলিপ নান্তেস সফর করেছেন এবং সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় পূর্ণ জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরার্ড কোলোম্ব জানিয়েছেন, সরকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ক্ষমতার মধ্যে সবকিছু করবে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার তল্লাশির সময় মাদকপাচার তদন্তে পুলিশের নজরদারিতে ছিল।  তার বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলাও রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের দাবি, তার সঙ্গে পরিচয়পত্র ছিল না, মিথ্যা নাম বলেছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হয়। এ সময় সে পালানোর চেষ্টা করে।

পুলিশের একটি সূত্র এএফপিকে জানায়, আবুবকর এক পুলিশ কর্মকর্তার ওপর গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এতে সহকর্মী পুলিশ কর্মকর্তা গুলি ছোড়েন। তবে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, আবুবকরের গাড়ি থামানো ছিল। এ সময়েই যুবকের গলায় একটি বুলেট বিদ্ধ হয়।