সার্বদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় বসনিয়ান মুসলমান জেনারেল অভিযুক্ত

১৯৯২-১৯৯৫ সালের যুদ্ধের সময় সার্ব মুসলমানদের ওপর সহিংসতার চালানোর অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন একজন বসনিয়ান মুসলমান সেনা কর্মকর্তা ও তার ইউনিটের কয়েকজন জন জ্যেষ্ঠ সদস্য। বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তার নাম আতিফ দুদাকোভিক। তার বয়স ৬৫ বছর। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তার কোনও পদক্ষেপ ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য সাধনের জন্য ছিল না।Capture

মুসলমান প্রধান বসনিয়ান সেনাবাহিনীতে একজন জেনারেল হিসেবে কর্মরত ছিলেন দুদাকোভিক। তার নেতৃত্বে ছিল ফিফথ কর্পস। বিহাক ছিটমহলে মোতায়েন ছিল ইউনিটি। এলাকাটি বসনিয়ান সার্বরা ১৯৯১-১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ঘিরে রেখেছিল। যুদ্ধের পর তিনি বসনিয়ার স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল বসনিয়াক–ক্রোট ফেডারেশনের জেনারেল কমান্ডার নিযুক্ত হন। পরে তার নেতৃত্বাধীন বাহিনী দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত হয়ে যায়।

বসনিয়ার সরকারি তদন্তকারীদের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩০০ সার্বকে হত্যার করার অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগীদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। হত্যার শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে যেমন ছিলেন বয়স্ক ব্যক্তি তেমনি ছিল আত্মসমর্পণ করা যোদ্ধারাও।’ তাদের মৃত দেহ বিভিন্ন গণকবরে খুঁজে পাওয়া গেছে। অনেকের মৃতদেহের সন্ধানে এখনও অনুসন্ধান চলছে।

গত এপ্রিল মাসে দুদাকোভিক এবং তার নেতৃত্বাধীন কর্পসের ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে। তবে শর্ত সাপেক্ষে তারা তখন মুক্তি পান। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তারা ৪৪৭ জন সাক্ষী ও সংশ্লিষ্ট সহস্রাধিক নথি প্রমাণ হিসেবে পেশ করবেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, বিচ্ছিন্নতাবাদী মুসলমান বিদ্রোহী নেতা ফিকার আব্দিক ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা ঘটিয়েছেন দুদাকোভিক ও তার সহযোগীরা। দুদাকোভিকো মুসলমান ছিলেন, আব্দিকও। দুদাকোভিকের বিরুদ্ধে এখন যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ বিচারাধীন থাকলেও আব্দিক একই অভিযোগে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ সম্পন্ন করেছে। নিজে মুসলমান হলেও আব্দিক বসনিয়ার সরকারের প্রতি অনুগত মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালিয়েছিল। ক্রোয়েশিয়ার একটি আদালত প্রথমে তাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়। পরে সাজা কমিয়ে ১৫ বছর করা হয়। শেষ পর্যন্ত ২০১২ সালে আব্দিক জেল থেকে মুক্তি পায়।