যাযাবরদের নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মন্তব্যেই হিগিন্সের জয়?

আয়ারল্যান্ডে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন মাইকেল ডি হিগিন্স। বামপন্থী এই রাজনীতিবিদ ও সাবেক মন্ত্রী প্রায় ৫৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন, যেখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাক্সে গেছে ২৩ শতাংশ ভোট। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিগিন্সের পেছনে ছিল তিনটি বৃহৎ আইরিশ রাজনৈতিক দলের সমর্থন। অন্যদিকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া পিটার কেসি যাযাবরদের নিয়ে ‘উন্নাসিক’ মন্তব্য করার জেরে সমর্থন হারিয়েছেন।হিগিন্স ও তার স্ত্রী

প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মধ্যে আলোচানায় ছিলেন ব্যবসায়ী পিটার ক্যাসি। তিনি পেয়েছেন ২৩ শতাংশ ভোট। ভোটের আগের দিন হওয়া জরিপের ফলাফলের চেয়েও তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা বেশি। কিন্তু ভোটের আগে কেসিকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছিল তার একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে। ‘আইরিশ ট্রাভেলার’ নামে পরিচিত যাযাবর গোষ্ঠীটির সদস্যদের নিয়ে তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ‘তারা কর দেয় না ও সাধারণত অন্য মানুষের জমিতে তাঁবু টাঙিয়ে থাকে।’ আইরিশ ট্রাভেলারদের দেশটির সবচেয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী হিসেবে দেখা হয়। এমন জনগোষ্ঠীর সদস্যদের বিষয়ে কেসির মন্তব্য ভালো লাগেনি অনেকের।

আইরিশ ট্রাভেলারদের কল্যাণে কাজ করা সংগঠন পিভি পয়েন্টের ভাষ্য, কেসির পরাজয় পুরো আইরিশ রাজনীতির জন্যই একটি বার্তা। আইরিশ ট্রাভেলারদের মতো ছোট একটি জনগোষ্ঠীর মানুষের বিরুদ্ধে কেসি উন্নাসিকতা দেখিয়েছিলেন। হিগিন্সের সমর্থন যে এমনভাবে বেড়েছে, তার কারণ কেসির মন্তব্য।

তবে পিটার কেসি মনে করেন না আইরিশ ট্রাভেলার সংক্রান্ত মন্তব্যের জেরে তিনি ভোট হারিয়েছেন।
গত শুক্রবার আয়ারল্যান্ডে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হয়েছে। হিগিন্স জয়ী হওয়ার পর মন্তব্য করেছেন, প্রেসিডেন্সি কোনও একক ব্যক্তির বিষয় নয়। তিনি সব আইরিশের প্রেসিডেন্ট। হিগিন্সকে ভোট দেওয়ার মাধ্যমে আইরিশরা বেছে নিয়েছেন তারা দেশে-বিদেশে কীভাবে পরিচিত হতে চান। ৭৭ বছর কবি হিগিন্সের ভাষায় ‘বিভক্তি ও ভীতির সংস্কৃতির বদলে তারা চান আশাবাদের প্রচার।’

পিটার কেসি