ঋণ পরিশোধ স্থগিতে দরিদ্র দেশগুলোর বাঁচবে ১২০০ কোটি ডলার: বিশ্বব্যাংক

করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে থেকে সাময়িক ঋণ পরিশোধ পরিত্রাণ কর্মসূচি (ডিএসএসআই)-তে অংশ নিয়ে বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলো এ বছর ১২০০ কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ বাঁচাতে পারবে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। এই কর্মসূচির আওতায় আফ্রিকার দেশ অ্যাঙ্গোলা একাই বাঁচাতে পারবে ৩৪০ কোটি ডলার। সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

world-bank

আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা সতর্ক করে আসছেন যে, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে উন্নয়নশীল ও ক্রমবর্ধমান বাজারগুলো উচ্চ পর্যায়ের ঋণের মুখোমুখি হবে। তেল ও অন্যান্য পণ্যের দরপতন হবে। অপর্যাপ্ত হয়ে পড়বে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা। এমন অবস্থায়, জি টোয়েন্টি, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও ঋণদাতাদের সংগঠন প্যারিস ক্লাবের উদ্যোগে ডিএসএসআই কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এটি স্বল্পমেয়াদি এক উদ্যোগ। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে চালু হওয়া এ কর্মসূচির আওতায় কেবল এ বছরের শেষ পর্যন্ত ঋণ পরিশোধ প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। তা একেবারে বাতিল হয়ে যাবে না।

বিশ্বব্যাংকের তালিকা অনুযায়ী, ডিএসএসআই-ভুক্ত ৭২টি দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অর্থ সঞ্চয়কারী দেশ হবে পাকিস্তান। দেশটি ২৪০ কোটি ডলার বাঁচাতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এর পরের অবস্থানেই রয়েছে কেনিয়া। দেশটি বাঁচাতে পারবে ৮০ কোটি ২০ লাখ ডলার।

বিবৃতিতে বলা হয়, জিডিপি বিবেচনায় নিয়ে সঞ্চয়ের পরিমাণ তুলনা করলে দেখা যাবে ভুটান এ পরিকল্পনার আওতায় সর্বোচ্চ সুবিধা পাচ্ছে। এ ঋণ স্থগিতের কারণে ভুটান তাদের জিডিপির ৭.৩ শতাংশ সঞ্চয় করতে পারবে। এর পরেই রয়েছে অ্যাঙ্গোলা ও জিবুতির স্থান। অ্যাঙ্গোলার জিডিপির ৩.৭ শতাংশ, আর জিবুতি  ২.৫ শতাংশ সঞ্চয় করতে পারবে।

জাতিসংঘসহ কয়েকটি আফ্রিকান দেশ ও নাগরিক সংগঠনগুলো এ ঋণ স্থগিতের মেয়াদ বাড়িয়ে দুই বছর করার আহ্বান জানিয়েছে। যাতে করে দেশগুলো মহামারিজনিত অর্থনৈতিক ধকল পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারে।

দ্য জুবিলি ডেট ক্যাম্পেইনের হিসাব অনুযায়ী, এ বছর ঋণ পরিশোধ স্থগিত করা হলে দরিদ্র দেশগুলোর মোট ২৫০০ কোটি ডলার পরিশোধ করার বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্তি পাবে। আর মেয়াদ যদি আরও এক বছর বাড়িয়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত করা হয়, তবে এ সঞ্চয়ের পরিমাণ হবে ৫০০০ কোটি ডলার।

/এফইউ/এএ/